Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জে পানির অভাবে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত : কৃষকরা দিশেহারা
sech field

হাজীগঞ্জে পানির অভাবে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত : কৃষকরা দিশেহারা

চাঁদপুর হাজীগঞ্জে উত্তর অঞ্চলের কয়েক হাজার একর কৃষি মাঠ পানির অভাবে সেচ কার্যক্রম ব্যাহতের পথে পড়েছে। চলতি বছর পানি উৎসগুলো তথা খাল-বিল শুকিয়ে গেছে, পূর্বেও অনেক সেচযন্ত্র বিকল অবস্থায় পড়ে আছে।

আধুনিক প্রযুক্তিতে মোটরের ব্যবস্থা থাকলেও গত কয়েক দিনের লোডশেডিংয়ের কারণে চলতি মৌসুমে বোরো জমিতে সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সেই সাথে এ বছর কাঙিক্ষত বৃষ্টিও নেই। এ অবস্থায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

উপজেলার উত্তর উঞ্চলের মাঠ পর্যায়ে খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, সরকারি খাল-বিল পানি শূন্য হয়ে পড়ায় মওসুমের শুরুতে সেচ সংকট দেখা দিয়েছে। পানির অভাবে উপজেলার উত্তর অঞ্চলের বিশেষ করে রাজারগাঁও, দ্বাদশগ্রাম, বাকিলা, কালচোঁ উত্তর ও দক্ষিন এবং সদর ইউনিয়নের পূর্ব অংশের প্রায় ৪ হাজার হেক্টর কৃষি মাঠ বোরো চাষাবাদের জন্য জমিতে হাল দিয়ে রাখলেও পানির অভাবে চাষাবাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারছে না এখানকার কৃষকরা।

ফুলচোঁয়া গ্রামের কৃষক নজরুল, তাজু , সেলিম, মাঈনুদ্দিন, কালচোঁ গ্রামের সুলতান, আবিদ মিয়া, পাতানিশ গ্রামের চাঁন মিয়া, আব্দুল লতিফসহ প্রায় শতাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ বছর বর্ষার পানি নভেম্বর মাসের পূর্বে কেটে গেছে। কিন্তু খালগুলোতে পানি আটকানোর কোন ব্যবস্থা না থাকায় আমরা অগ্রিম চাষাবাদের সুযোগ পাইনি। তাছাড়া আমাদের এ অঞ্চলে প্রথমে আলু, সরিষাসহ ৩ মাস মেয়াদী বিভিন্ন ফুল ফলাধি সবজির চাষ করা হয়। তার পরে ইরি চাষাবাদ করা হয়।

কিন্তু এ বছর অতি ক্ষরার কারণে এসব ফসল উত্তলনের পর ইরি বোরো চাষাবাদের জন্য জমিতে হাল দিয়ে রাখলেও এখন পর্যন্ত পানি সেচের কোন ব্যবস্থা দেখা যাচ্ছে না। সময়মত পানি না পেলে আবার ইরি-বোরো চাষাবাদ করতে পারবো না। তবে বৃষ্টির অপেক্ষায় এখন আর মানুষ ফসল চাষাবাদের জন্য বসে থাকে না। তাই তাদের বিকল্প প্রদ্ধতি নিয়ে বসে থাকলেও নানা সমস্যার কথা বলতে শুনা যায়।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফত সৃত্রে জানা যায়, চলতি মওসুমেও ইরি-বোরো উৎপাদন চাষাবাদের লক্ষমাত্রা ১০ হাজার হেক্টর জমি ।

এসব মাঠে ফসল উৎপাদনের কথা রয়েছে উফশী,হাইব্রীডসহ স্থানীয় জাত। সেচ নির্ভর এসব ফসলী মাঠে পানির অভাবে কৃষকরা তাদের ক্ষেতের যথাযথ পরিচর্যা এখন পর্যন্ত করতে পারছে না। এ জন্য তাদের বিকল্প ফসল উৎপাদনের জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়
৭ জানুয়ারি,২০১৯

Leave a Reply