Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের বেহাল দশা: ঝুঁকিতে ডাকাতিয়া নদী ও ব্রীজ
Road

হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের বেহাল দশা: ঝুঁকিতে ডাকাতিয়া নদী ও ব্রীজ

চাঁদপুরের অন্যতম হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের নিচে ডাকাতিয়া ব্রীজ। খরস্রোতা ডাকাতিয়া নদী এখন মৃতপ্রায়। এই মরা নদীর উপর খাঁড়ার ঘাঁ। বালু ব্যবসায়ীর দখল প্রতিযোগিতায় ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে যাচ্ছে ডাকাতিয়া নদী।

সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ডাকাতিয়া ব্রীজের কয়েকটি পিলারের ভীমের আংশিক ভেঙ্গে গেছে। বেকু ও ড্রেজার দিয়ে বালু সরবরাহ করায় ব্রীজটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ।

ডাকাতিয়া ব্রীজ ঘেঁষে গড়ে উঠা অবৈধ বালুমহাল। ১১টি বালুমহালের মাঝে মাত্র দুইজনের লীজ থাকলেও বাকি ৯ জনের অবৈধভাবে হরদমে বালু ব্যবসা চালিয়ে আসছে। প্রতিনিহিত সড়কের উপর দিয়ে অবৈধ হাইসার দিয়ে বালি পারাপার করে আসলেও এসব দেখার জন্য কর্তৃপক্ষ যেন নেই।

প্রতিবছর জেলা পরিষদ নদীর ঘাট ইজারা ও হাজীগঞ্জ পৌরসভা বালুমহালের ইজারা নিচ্ছে। কিন্তু এইসব ইজারা নিয়েও রয়েছে দ্বিমত।এখানে বালুমহালগুলো হচ্ছে হামিদ, মদিনা, কোম্পানি, আকতার, হারুন, সুইটি, সফিক ট্রের্ডাস, তালুকদার, মুন্সী বিল্ডার্স ও নির্র্মাণ এন্টার প্রাইজ।

প্রায় ২৫টির মতো ট্রাক নিয়মিত ডাকাতিয়ার ব্রীজ ঘেঁষে বালু পরিবহণ করছে। ওইসব হাইসার ড্রাম ট্রাকগুলোর ওজন প্রায় ৫৫ থেকে ৬০ টন। গড়ে এই বালু মহালে দৈনিক ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক বালু বিক্রি হচ্ছে।এই আঞ্চলিক সড়কে ড্রাম ট্রাক চলাচলের অনুমোতি নেই।

বিশেষ করে হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের পূর্ব পাশ বালি ভর্তি ট্রাকের চাপায় বছর না যেতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হাজীগঞ্জ ব্রিজের কাছাকাছি ডাকাতিয়া নদীর পাশ দিয়ে প্রায় আধা কিলো সড়কের বেহাল অবস্থা। বৃষ্টি এলেই ওই আধাকিলো সড়কে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়।

হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ও রান্ধুনীমুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়া দিনভর এই সড়কে বাতাসে বালু উড়ে শিক্ষার্থী ও পথচারীদের অসহনীয় ভোগান্তির শিকার হতে হয়। বিশেষ করে রামগঞ্জ তথা দক্ষিণ অঞ্চলের যানবাহনের যাত্রীরা এ বালু মহালের কাছে আসলে হয় দূলাবালি, না হয় কাদাঁ এবং ৫ থেকে ৪৫ মিনিটের জ্যামের মধ্যে দূর্ভোগ প্রহাতে হয়।

সফিক ট্রের্ডাসের মালিক সফিকুল ইসলাম বলেন, পৌরসভা প্রতিবছর টেন্ডার দেয়। কিন্তু এই আধা কিলো সড়ক মেরামত করে না।আরেক ব্যবসায়ী সুইটি ট্রের্ডাসের মালিক ফজুলল হক বলেন, দুইজন ছাড়া কারো লীজ নাই। এখানে সরকার যখন চাইবে বাকীরা তাৎক্ষণিক জায়গা ছেড়ে দিতে হবে।

অচিরেই জেলা পরিষদ কিংবা পৌরসভা এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ এ অবৈধ বালু মহাল ও হাইসার ড্রাম ট্রাকগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে এখানকার যাত্রী সাধারনের প্রাণের দাবি হয়ে দাড়িয়েছে।

প্রতিবেদক:জহিরুল ইসলাম জয়
৯ মার্চ,২০১৯