Home / জাতীয় / অর্থনীতি / ৭ লাখ ক্ষুদ্র-প্রান্তিক কৃষক ৮০ কোটি টাকার বীজ-সার বরাদ্দ
matia
প্রতীকী ছবি

৭ লাখ ক্ষুদ্র-প্রান্তিক কৃষক ৮০ কোটি টাকার বীজ-সার বরাদ্দ

আসন্ন রবি মৌসুমে এগারটি ফসলের উৎপাদন বাড়াতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের ৭৯ কোটি ৯৯ লাখ ৮২ হাজার টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার। সারাদেশের ৬ লাখ ৯০ হাজার ৯শ’৭০ জন কৃষকে এ প্রণোদনা দেয়া হবে।

রোববার (৭ অক্টোবর ) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে এ প্রণোদনা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রণোদনার মাধ্যমে এ ১১টি ফসল আবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করা, আবাদ এলাকা বৃদ্ধি ও ফসলগুলোর হেক্টর প্রতি ফলন বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া হবে।’

তিনি জানান, রবি মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, চীনাবাদাম, ফেলন, খেসারি, বিটি বেগুন, বোরো, শীতকালীন মুগ এবং পরবর্তী খরিপ-১ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ ও গ্রীষ্মকালীন তিল উৎপাদন বৃদ্ধিতে ৬৪টি জেলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের প্রণোদনার মাধ্যমে পরিবার প্রতি সর্বোচ্চ ১ বিঘা জমির জন্য বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার দেয়া হবে।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘এ প্রণোদনা কার্যক্রমের অর্থ কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাজেট বরাদ্দ থেকে সংকুলান করা হবে। এ জন্য সরকারের কোনো অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন হবে না।’

প্রণোদনা হিসেবে কৃষকরা চলতি রবি মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, চীনাবাদাম, ফেলন, খেসারি, বিটি বেগুন, বোরো, শীতকালীন মুগ এবং পরবর্তী খরিপ-১ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ ও গ্রীষ্মকালীন তিল উৎপাদনে বীজ ও রাসায়নিক সার পাবেন।

কৃষিমন্ত্রী জানান, গমের ক্ষেত্রে উপকারভোগী কৃষকের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৭শ, ভুট্টার ক্ষেত্রে ২ লাখ ২১ হাজার ৫শ, সরিষার ক্ষেত্রে ২ লাখ ১০ হাজার ২শ, চীনাবাদামের ক্ষেত্রে ১০ হাজার ১ শ’, গ্রীষ্মকালীন তিলের ক্ষেত্রে ১৮ হাজার, গ্রীষ্মকালীন মুগের ক্ষেত্রে ৪৮ হাজার ৪ শ’, শীতকালীন মুগের ক্ষেত্রে ২৪ হাজার ৩ শ’, খেসারীর ক্ষেত্রে ১৩ হাজার ৬শ’, ফেলনের ক্ষেত্রে ৫ হাজার ৪শ’, বিটি বেগুনের ক্ষেত্রে ২ হাজার ৭০ ও বোরোতে উপকারভোগী কৃষকের সংখ্যা ৭১ হাজার ৭ শ’ জন।

কৃষিমন্ত্রী আরো জানান, এক বিঘা জমির জন্য গমের ক্ষেত্রে প্রতি কৃষক ২০ কেজি বীজ, ৫ কেজি ধান বীজ, ভুট্টার ক্ষেত্রে ২ কেজি বীজ ও সরিষার ক্ষেত্রে এক কেজি বীজ, চীনাবাদামের ক্ষেত্রে ১০ কেজি বীজ, গ্রীষ্মকালীন তিলের ক্ষেত্রে এক কেজি বীজ, গ্রীষ্মকালীন মুগের ক্ষেত্রে ৫ কেজি বীজ, খেসারীর ক্ষেত্রে ৮ কেজি বীজ, ফেলনের ক্ষেত্রে ৭ কেজি বীজ ও বিটি বেগুনের ক্ষেত্রে ২০ গ্রাম বীজ দেয়া হবে।

ধান, গম, ভুট্টা, গ্রীষ্মকালীন তিল, সরিষা ও বিটি বেগুনের ক্ষেত্রে প্রতি কৃষক ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার পাবেন। চীনাবাদাম, গ্রীষ্মকালীন মুগ, শীতকালীন মুগ,খেসারী, মাসকলাই ও ফেলনে প্রত্যেক কৃষক ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার প্রণোদনা হিসেবে পাবেন বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কৃষককের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে প্রণোদনার অর্থ পাঠিয়ে দেয়া হবে জানিয়ে মতিয়া সাংবাদিকদের বলেন,‘প্রণোদনা বিতরণে অনিয়ম হলে আপনারা তা তুলে ধরবেন,আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।’

সংবাদ সম্মেলনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো.নাসিরুজ্জামান ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বার্তা কক্ষ
৭ অক্টোবর ,২০১৮ রোববার
এজি

Leave a Reply