Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / কচুয়ায় সরকারি হালট উদ্ধারে ইউএনওর কাছে গ্রামবাসীর আবেদন
Halot-fact

কচুয়ায় সরকারি হালট উদ্ধারে ইউএনওর কাছে গ্রামবাসীর আবেদন

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ২নং পাথৈর ইউনিয়নের পদুয়া গ্রামে সরকারি হালটে জনসাধারনের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় ভূক্তভোগী এলাকাবাসী ওই সরকারি হালটে জনস্বার্থে নতুন রাস্তা তৈরির দাবিতে প্রতিকার চেয়ে অতি সম্প্রতি কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা আফরোজের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের দায়ের করেছেন।

গ্রামবাসীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৪ মে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালযে এক শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। ওই শুনানীর পর সরেজমিন তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার জন্য স্থানীয় পাথৈর ইউনিয় ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে নিদের্শ প্রদান করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা আফরোজ ।

পদুয়া গ্রামের অধিবাসী মো. ছিদ্দিক মিয়া, মো. নবীর হোসেন, জামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, জসিম উদ্দিনসহ আরো অনেকে জানান, এ গ্রামের কয়েক বাড়ীর লোকজনের যাতায়াতের একমাত্র পথ হচেছ এই রাস্তাটি।

কিন্তু এই গ্রামের অধিবাসী মো. আব্দস সামাদ ও মো. নূরুল ইসলাম বিগত বেশ কয়েক বছর যাবৎ প্রভাব খাটিয়ে পুরনো টয়লেট না সরিয়ে ও বাঁশঝাড় লাগিয়ে পাশ্বের বাড়ীর লোকজনের যাতায়াতের চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি করে আসছে।

তারা বলেন, বাড়ির লোকজন বিভিন্ন সময়ে তাদের নিত্য প্রয়াজনীয় ও মাঠের কৃষি ফসলি মালামাল ও মেহমান আসলে সিএনসি নিয়ে বাড়ি আসতে পারছেন না। তারা আরো বলেন, এই গ্রামে সরকারি হালট থাকাসত্ত্বে প্রতিপক্ষ আব্দস সামাদ ও মো. নূরুল ইসলাম কৌশলে বাশঝাঁড়, আমগাছ লাগিয়ে ও পুরনো টয়লেট না সরিয়ে সরকারি হালট নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থে বছরের পর বছর ব্যবহার করে আসছে।

একই গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. নূরে আলম জানান, পুকুরের দক্ষিন অংশে আমাদের বাড়ী। এখানে পূর্ব-পশ্চিমাংশে লম্বা অর্থাৎ পুকুর ও আমাদের বাড়ির মাঝামািঝ সরকারি হালট রয়েছ।

এ হালটের মাজামাঝি থাকা পুরনো পরিত্যাক্ত টয়লেট ও বাঁশঝাড় সরিয়ে দিলে শত শত মানুষ তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে সুন্দর একটি পথ ব্যবহার করতে পারবে এবং পাশাপাশি বাড়ি ও পরো গ্রামের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাবে। আমরা গ্রামবাসী এরইমধ্যে বেশ কয়েক বার এপথ থেকে পুরনো পরিত্যাক্ত টয়লেট ও বাঁশঝাড় সরিয়ে নিতে অনুরোধ করার পরেও তাহারা এগুলে ইচছা করেই সরাচ্ছেন না।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পদুয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আব্দুস সামাদ ও মো. নূরুল ইসলাম সরকারী হালট থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, পাশের জায়গা আমাদের হওয়ায় আমরা টয়লেট, বাঁশঝাড় ও গাছ লাগিয়ে দখলে রেখেছি। তবে জনস্বার্থে এলাকাবাসী চাইলে পরনো টয়লেট সরিয়ে দেবো।

পাথৈর ইউনিয় ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. তাফাজ্জল হোসেন বলেন, সম্প্রতি আমার ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, যাতায়াতাতের জন্য এলাকাবাসীর আবেদন সঠিক। এস্থানে সরকারী হালট রয়েছে। এলাকাবাসী কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষ চাইলে জনস্বার্থে গ্রামবাসীর জন্য রাস্তা দেয়া যেতে পারে।

পদুয়া গ্রামের অধিবাসী মো. নূরুল ইসলামের ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম মুঠো ফোনে বলেন, আমি ঢাকায় রয়েছি। এই জায়গা আমাদের, আমরা অনেক আগে, দক্ষিন রাস্তার পরিবর্তে পশ্চিম পাশে পাকা রাস্তার জন্য জায়গা দিয়েছি। এ নিয়ে আমি স্থানীয় ভাবে বসে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সময় কম হওয়ার কারনে তা সমাধান হয়নি।

বিষয়টি মীমাংসার স্বার্থে আবারো সবাইকে নিয়ে বসার চেষ্টা করবো। এদিকে কচুয়া উপজেলার পদুয়া গ্রামে পুরণো সরকারি হালট উদ্ধার করে জনস্বার্থে গ্রামবাসীর চলাচলে রাস্তা তৈরির সুযোগ করে দিতে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কচুয়া
১৭ মে ২০১৯