চাঁদপুর

চাঁদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মামা-ভাগনীসহ নিহত ৩

চাঁদপুরে পৃথক সড়ক দূর্ধটনায় মামা-ভাগনীসহ ৩ জন নিহত হয়েছে আহত হয়েছে অন্তত দু’জন। মঙ্গলবার (১১ জুনÑ) সকালে চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের সেনগাঁও বটতলা ও শাহমাহমুদপুর মান্দারী নামকস্থানে পৃথক দু’টি দুর্ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যে সেনগাঁও নামকস্থানে বাস-সিএনজি স্কুটারের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত মামা-ভাগনী হলেন ব্যাংক কর্মকর্তা ইমরান হোসেন (৩৪) ও ভাগ্নি ফাতেমা আক্তার আনিকা (১০)। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৩ জন। অপর ঘটনায় সকাল ১০টায়
শাহমাহমুদপুর মান্দারী নামকস্থানে পিকাপ ভ্যানের চাপায় হাজীগঞ্জ।এলাকার ঝর্ণা বেগম নামে এক পথচারী নিহত হয়। ঘটনার সত্যতা শিকার করেছেন চাঁদপুর মডেল থানার ওমি নাসিম উদ্দিন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, হাজীগঞ্জ থেকে চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটের উদ্দেশ্যে সিএনজি স্কুটার চাঁদপুর-থ-১১-২৪০৯ পাঁচ জন যাত্রী নিয়ে আসার সময় ঢাকা অভিমুখী পদ্মা এক্সক্লুসিভ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ঢাকা গাজীপুর এলাকার সোসাল ইসলামী ব্যাংকের হিসাব রক্ষক হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল গ্রামেরসর্দার বাড়ির তাজুল ইসলাম সর্দারের ছেলের ইমরান হোসেন (৩৪) ঘটনাস্থলেই মারা যান। ভাগ্নি ফাতেমা আক্তার আনিকা (১০) গুরুতর আহত অবস্থায় চাঁদপুর সরকারি সদর হাসপাতালে থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যায়।

অপর আহত ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৩নং সুবিদপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের শীল বাড়ির ডাঃ ভাষাণ চন্দ্র শীলের ছেলে রতন চন্দ্র শীল (৩০) কে প্রথমে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সকালে চঁাদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসার খেঁাজ খবর নিতে ছুটে আসেন।

তিনি সাংবাদিকদেরকে জানান, ঈদ পরবর্তী সময়ে চাঁদপুরে এটি একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। আমরা আহতদেরকে চিকিৎসার জন্য কাজ করছি। তিনি চঁাদপুর মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে নিহত ব্যাংক কর্মকর্তা ইমরান হোসেনের লাশ বিনা ময়না তদন্ত ছাড়াই মানবিকতার বহিঃ প্রকাশ ঘটিয়ে তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন। শিশু আনিকার লাশটিও ময়না তদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ তৌহিদুল ইসলাম খান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, শিশু আনিকা ও রতনের অবস্থা আশংকাজনক। তাদের ঢাকা প্রেরণের নির্দেশ দিলে পথে শিশু আনিকার মারা যায়। অপর আহত জুয়েলকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক রেজাউল করিম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় এনেছি। দুর্ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া সিএনজি স্কুটারটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘাতক পদ্মা বাসটি দূর্ঘটনায় ঘটিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

সিএনজি স্কুটার চালক দুর্ঘটনার পর সাধারণ মানুষের সাথে মিশে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম
১১ জুন ২০১৯

Share