চাঁদপুর

সন্ধ্যা হলেই অন্ধকার হয়ে যায় বঙ্গবন্ধু সড়ক

সন্ধ্যা হলেই আঁধার কালো অন্ধকারে ঢেকে যায় চাঁদপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক। যে সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই ভারী যানবাহনসহ ছোট-বড় অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে থাকে। কিন্তু চাঁদপুর শহরের ব্যস্ততম সে আলোচিত সড়কটিই সন্ধ্যা হলেই অন্ধকার নেমে আসে। যার কারনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারী ও যানবাহন চালকদের।

জানাযায়, গত কয়েক বছর পূর্বে চাঁদপুর শহরের যানজট কমিয়ে আনতে বাইপাস সড়ক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নামে সড়কটির নামকরন করে এ সড়কটি নির্মান করা হয় কিন্তু সড়কটি নির্মাণ হওয়ার পর থেকে ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ না করার কারণে সড়কটি অনেকটা অযত্নে অবহেলায় রয়েছে।

প্রায় বছর খানেক ধরে লক্ষ্য করা যায়,বঙ্গবন্ধু সড়কটির মিশন রোড থেকে দর্জিঘাট এলাকা পর্যন্ত সড়কের পাশের খুঁটিতে বৈদ্যুতিক লাইনে কয়েকটি বাতি থাকলেও দর্জি ঘাটের পর থেকে ওয়্যারলেস এলাকার চাঁদপুর-রায়পুর সড়ক লাগোয়া বঙ্গবন্ধু সড়কের প্রবেশ মুখ পর্যন্ত কোন প্রকার বাতি নেই।

যদিও সড়কের পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। কিন্তু একটি খুঁটিতেও সড়ক আলোকিত করার কোন বাতি নেই। তাই সন্ধ্যা হলেই ঘোর অন্ধকার নেমে আসে বঙ্গবন্ধু সড়কে। এজন্য অনেক আতংক নিয়ে পথ চলতে হয় পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহন চালকদের।

স্থানীয় এলাকার বেশ ক’জন ব্যক্তি জানান, যখন এ সড়কটি ছিলো না। তখন পর্ব অঞ্চলের অধিকাংশ লোকজন রেললাইন দিয়ে চলাচল করতো। ওই সময়ে ঘোড়ামারা আশ্রয়ন প্রকল্পের সামনে রাতের বেলায় রেললাইনের ওপর অনেক ছিনতাই ও ডাকাতি হতো। বঙ্গবন্ধু সড়কের সে অংশে কোনো ধরনের বাতি না থাকায়, মানুষজন সেই পুরনো আতংক নিয়েই রাতের আঁধারে পথ চলতে হয়।

এছাড়াও অনেক মোটর সাইকেল আরোহী এবং ক’জন রিক্সা চালক জানান, বঙ্গবন্ধু সড়কে বাতি না থাকায় এস্থান দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যেতে অনেক ভয় লাগে। কারন সড়কের পাশে অনেক ঝোপঝাপ রয়েছে । ওই ঝোপঝার এবং পরিত্যাক্ত বাড়িতে ছিনতাইকারী বা চোর চক্ররা লুকিয়ে থেকে হঠাৎ আঘাত করে কোনো অঘটন ঘটাতে পারে বলে তাদের মন্তব্য।

তাই চাঁদপুর শহরের এ ব্যস্ততম সড়কে যেনো খুব জরুরি ভিত্তিতে দর্জিঘাট এলাকা থেকে সড়কের শেষ মাথা পর্যন্ত বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বাতি স্থাপন করা হয়। সেজন্য কর্তপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন সচেতন মহল।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান দর্জির সাথে কথা হলে তিনি বলেন,‘বাতিগুলোর বিষয়ে মেয়রের সাথে কথা হয়েছে সহসাই কাজ করা হবে।’

কবির হোসেন মিজি , ১৪ অক্টোবর , ২০১৯ ।

Share