আঞ্চলিক সড়ক হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ মহা-সড়কটিতে দৈনিক হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে আসছে। কিন্তু সেই তুলনায় সড়কটিতে উন্নয়নের তেমন কোন চোঁয়া লাগতে দেখা যায়নি।
চাঁদপুর ও লক্ষীপুর সড়ক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সংস্কার কাজে গাফিলতির অভিযোগও রয়েছে। বর্তমান সড়কটির বড় বড় গর্ত ও দু’পাশে মাটি নেই বললেই চলে। সেই সাথে সড়কের দুই পাশে ইটা,বালি, গাছের গুড়িসহ নানা অবৈধ স্থাপনা বছরের পর বছর পড়ে থাকতে দেখা যায়। আর এসব নানা কারনে কিছু দিন পর পর সড়কটিতে দুর্ঘটনায় অনেক তাজা প্রাণ হারিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কটির আয়তন প্রায় ২০ কিলোমিটার। যার মধ্যে অধ্যেক পড়েছে চাঁদপুর ও বাকি ১০ কিলো পড়েছে লক্ষীপুর সড়ক বিভাগে। এর মধ্যে চাঁদপুর সড়ক বিভাগের শেষ অংশ ঘনিয়া নামক স্থানে একটি পুরাতন বেইলী ব্রিজ ও লক্ষীপুর অংশের খলিফা দজ্জায় একটি বেইলী ব্রিজ রয়েছে। লক্ষীপুর অংশের বেইলী ব্রিজটির যায়গায় নতুন ব্রীজের কাজ ইতিমধ্যে করতে দেখা যায়।
সড়কটির দু’পাশে স্থানীয় প্রবাবশালীদের ইট, বালু, কঙ্কর , করাত কল, গাছের গুড়ি, অবৈধ দোকান পাঠসহ নানা স্থাপনা পড়ে আছে। যানবাহন চলাচলে এসব স্থানগুলো অতিক্রম করতে গিয়ে প্রতিদিন ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
এদিকে সড়কটি সংস্কারের অভাবে ছোট বড় অনেক গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া দু’পাশে মাটি না থাকায় যানবাহন চলাচলে ব্যাপক বেগ পেতে দেখা যায়।
বিশেষ করে সড়কের হাজীগঞ্জ অংশের জিয়ানগর, সেলিম ব্রিকফিল্ড থেকে মমিন ইঞ্জি. বিকর্স পর্যন্ত, বেলচোঁ বাজার পুরো অংশ, সেন্দ্রা ব্রিজের দুই পাশ ও ফরিদগঞ্জ অংশের মনতলা থেকে শুরু করে বাকী ঘনিয়া ব্রিজ পর্যন্ত এবং রামগঞ্জ অংশের বিভিন্ন যায়গা জুড়ে দেখা যায় ছোট বড় গর্ত, দুই পাশে মাটি নেই ও বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা পড়ে আছে। আর এসব স্থানগুলোতে ঘটছে দুর্ঘটনা। গত এক মাসে এ সড়কের উপরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ১০ জন নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সড়কের পাশে থাকা স্থানীয় বাসিন্ধাদের অভিযোগ, সড়কটি সংস্কারের অভাব, দুই পাশে মাটি না থাকায় এবং অবৈধ স্থাপনার কারনে কয়েক দিন পর পর ঘটে সড়ক দূর্ঘটনা। এসব অনিয়ম যেন দেখার কেউ নেই।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা শাহআলম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সড়কটির অবকাঠামো উন্নয়ন করতে। কিন্তু এ সড়কটি দিয়ে যে পরিমান ভারি অবৈধ বালি ভর্তি ট্রাক চলাচল করছে তাদে কয়েক দিন পর পর পিচ ডালা ফেটে গর্তে নিমর্জিত হচ্ছে।’
তিনি আরো জানান, ‘সড়কের পাশে বর্ষার সময় মাটি ভেঙ্গে পড়ে যায়। তাই আমরা গুরুত্বপূর্ণ অংশে মাটি ফেলার কাজ অব্যাহত রয়েছে। অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে মালিক পক্ষদের সর্তক করা হয়েছে। অতিরিক্ত যানবাহন ও সর্তকতার অভাবে এবং অবৈধ স্থাপনার কারনে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে স্বীকার করেন এ কর্মকর্তা।’
প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয়
: আপডেট, বাংলাদেশ সম ৮ : ৪১ পিএম , ৯ জুন ২০১৭, শুক্রবার
এইউ