বাংলা চলচ্চিত্রে অম্যতম কৌতুক অভিনেতা চাঁদপুরের কৃতি সন্তান দিলদার। কৌতুক অভিনেতা হিসেবেই তার পরিচিতি ছিল।
বাংলা চলচ্চিত্রে সবচেয়ে বেশি হাসির খোরাক যোগানো মানুষটির নাম দিলদার। ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই তারিখে মারা যান অসম্ভব জনপ্রিয় এই মানুষটি। মৃত্যুর দীর্ঘ সময় পর কেমন আছে এই অভিনেতার পরিবার?
দিলদারের স্ত্রীর নাম রোকেয়া বেগম। এই দম্পতির দুই কন্যা সন্তান। বড় মেয়ের নাম মাসুমা আক্তার। পেশায় তিনি দাঁতের ডাক্তার। বিয়ে করেছেন অনেক আগেই। তার ছেলে (দিলদারের নাতি) নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়য়ে পড়ছে আর মেয়ে পড়ছে ক্লাস সেভেনে। ছোট মেয়ে জিনিয়া আফরোজ।
দিলদার চলচ্চিত্রে কাজ করে টাকা জমিয়ে ডেমরার সারুলিয়ায় ১৯৯৪ সালে একটা পাঁচতলা বাড়ি করেছেন। এখন চারতলা পর্যন্ত ভাড়া দেয়া এবং পাঁচ তলায় দিলদারের স্ত্রী রোকেয়া বেগম থাকেন। এছাড়াও তিনি মাঝে মধ্যে বড় মেয়ের কাছে চাঁদপুরে ও ছোট মেয়ের কাছে ঢাকার নিকেতনে থাকেন।
দিলদারকে এখন মানুষের মনে পড়ে? একটা সময় বাংলা চলচ্চিত্রে দিলদারের উপস্থিতি ছিল অনিবার্য। দিলদার ছাড়া চলচ্চিত্র যেন তরকারিহীন ভাতের মতো। বিএনপি’র অঙ্গ সংগঠন জিয়া সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি ছিলেন দিলদার। কিন্তু মারা যাওয়ার পর প্রথম তিন-চার বছর সংগঠনটি দিলদারের মৃতুবার্ষিকী পালন করতো। এখন পালন করা তো দূরের কথা সংগঠনের কারো এই দিনটির কথাই হয়তো মনে নেই।
দিলদারের ছোট মেয়ে জিনিয়ার স্বামী মারা গেছেন। জিনিয়া আগে টেলিকমিনিকেশনে চাকরি করতেন। সেখানে থেকে চলে আসেন ব্রাক ব্যাংকে। পাঁচবছর চাকরির পর সেটিও ছেড়ে দেন। শারীরিক অসুস্থতা ও অতিরিক্ত কাজের প্রেসারে ওই চাকরিটি ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। বর্তমানে চাকরির চেষ্টা করছেন তিনি।
জিনি বলেন, পরিবারের সবকিছু আমার মা দেখাশোনা করেন। উনারও বয়স হয়েছে। আমাদের সংসার রয়েছে, তার ফাঁকেও দেখভাল করি যতটুকু পারি। আর আমার তো কোনো ভাই নেই তাই আম্মাকে আমাদের দুই বোনকেই দেখতে হয়।
প্রসঙ্গত, দিলদার ঢাকাই চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন ১৯৭২ সালে। তাঁর মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ‘কেন এমন হয়’। এই ছবির মাধ্যমেই অভিনয়ে অভিষেক। ২০০৩ সালে সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ‘তুমি শুধু আমার’ চলচ্চিত্রের জন্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। আব্দুল্লাহ’ নামে একটি ছবি নির্মাণ করা হয় যার নায়ক ছিলেন দিলদার।
বার্তা কক্ষ
১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur