বেতন বৃদ্ধিসহ ১৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক সংগ্রাম ঐক্য পরিষদের ডাকা ধর্মঘট তৃতীয় দিনও প্রত্যাহার হয়নি।
তবে ধর্মঘটের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) মালিকপক্ষের লোকজন ‘জোরপূর্বক’ চাঁদপুর থেকে ‘লস্কর, সুকানি ও অন্যান্য কর্মচারীদের সহায়তায়’ লঞ্চ ছাড়ার অভিযোগ করছেন শ্রমিক নেতারা।
চাঁদপুর রূটে আংশিক লঞ্চ চলাচল করেছে। চাঁদপুর নৌ-টার্মিনাল ঘাট সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর থেকে ৯টি থেকে ১০টি লঞ্চ সময়সূচি অনুযায়ী ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঢাকা থেকেও ৫ থেকে ৬টি লঞ্চ চাঁদপুর ঘাটে এসেছে।
এদিকে নৌযান শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের তৃতীয় দিনেরমত লঞ্চঘাটে নৌযান শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করলেও লঞ্চ মালিক সমিতির লোকজন লঞ্চের লস্করসহ অন্যান্য শ্রমিক দিয়ে লঞ্চ চলাচল শুরু করেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক সংগ্রাম ঐক্য পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক বিপ্লব সরকার চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘বেতন বৃদ্ধিসহ ১৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চাঁদপুরেও নৌ-যান শ্রমিক সংগ্রাম ঐক্য পরিষদের ডাকা ধর্মঘট পালিত হয়েছে। তবে এই ধর্মঘটের মধ্যদিয়েও চাঁদপুর থেকে ঢাকা লঞ্চ ছেড়ে গেছে। যারা লঞ্চ ছেড়েছে তারা কেউই লঞ্চের মাস্টার নয়। কিছু লঞ্চ মালিক সমিতির লোকজন লঞ্চের লস্কর, সুকানি এবং অন্যান্য শ্রমিক দিয়ে চাঁদপুর থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু করেছে। এসব লঞ্চে মাস্টার না থাকায় প্রতিটি লঞ্চই ঝুকি নিয়ে চলাচল করেছে।’
এভাবে প্রতিদিন যদি তারা ঝুকি নিয়ে চাঁদপুর থেকে লঞ্চ ছাড়ে তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান এ শ্রমিক নেতা।