দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। আর এজন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ১ হাজার ৪০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে শিক্ষার স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান, সংস্কার ও কৌশল নির্ধারণ, কলেজগুলোর ব্যবস্থাপনা ক্যাপাসিটি শক্তিশালীকরণ, শিক্ষা নিয়োগে ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উন্নতকরণ ও অনার্স মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষণ-শিক্ষা পদ্ধতি উন্নতকরণ করা হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় এ প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারস ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে ‘কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক দেবে ৮০০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি জুলাই ২০১৬ থেকে জুন ২০২১ মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে।
তিনি আরো বলেন, উচ্চশিক্ষার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কলেজ সংখ্যা বাড়ানো হবে। এই মুহূর্তে মানসম্মত শিক্ষার উপর অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এজন্য প্রকল্প ২০১৯ সালের মধ্যে শেষ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
মুস্তফা কামাল বলেন, সভায় মোট ৮টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ৪ হাজার ৬০৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ৮০৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৮০০ কোটি টাকা।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো-
১০০টি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন প্রকল্প (প্রথম সংশোধিত), এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ২৮১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্প (প্রথম সংশোধিত), এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
২০টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। পাঁচদোনা-ডাঙ্গা-ঘোড়াশাল সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা। কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী ও উলিপুর উপজেলাধীন বৈরাগীরহাট ও চিলমারী বন্দর ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীরের ভাঙন থেকে রক্ষা প্রকল্প (প্রথম সংশোধিত), এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
এছাড়া উন্নতজাতের গাভি পালনের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত মহিলাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
হাতে-কলমে কারিগরি প্রশিক্ষণে মহিলাদের গুরুত্ব দিয়ে বিটাকের কার্যক্রম সম্প্রসারণ-পূর্বক আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প (তৃতীয় সংশোধিত), এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব তারিক-উল-ইসলাম, শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ।