Home / সারাদেশ / আধ্যাত্মিক সাধনার জন্য যুবককে জিন্দা কবর : তিনদিন পর জীবিত উদ্ধার
আধ্যাত্মিক সাধনার জন্য যুবককে জিন্দা কবর : তিনদিন পর জীবিত উদ্ধার

আধ্যাত্মিক সাধনার জন্য যুবককে জিন্দা কবর : তিনদিন পর জীবিত উদ্ধার

শতবছরের শ্মশানে আধ্যাত্মিক সাধনার জন্য ময়মনসিংহের গৌরীপুরে মো. আমিনুল ইসলাম ফকির (৩০) নামের এক যুবককে জিন্দা কবর দেয়া হয়! খবর পেয়ে তিনদিন পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে হাজার হাজার উৎসুক জনতার ঢল নামে।

ঘটনাটি ঘটে উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের নিজাম উদ্দিন আউলিয়া (র.) খানকা শরীফ এলাকায়।

মঙ্গলবার কবরের এক পাশের ছিদ্র দিয়ে উদ্ধার হওয়ার আগে এ প্রতিনিধি’র সঙ্গে পত্রযোগে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন ওই যুবকটি।

গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আখতার মোর্শেদ জানান, এ ঘটনা জানার পর এসআই রকিবুজ্জামান তালুকদার ও এএসআই মো. শামীম মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কবর থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে।

আমিনুলের বাবা আজিজুল হক জানান, সে সান্দিকোনা থেকে এসএসসি ও আঠারবাড়ি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে। চাকরি ও ব্যবসা ছেড়ে ৬/৭ বছর যাবত বিভিন্ন মাজারে মাজারে ঘুরে দিন কাটায়। বালিশের বদলে মাথায় পাথর, গলায় শিকল ও তালা ঝুলিয়ে অভিনব জীবনযাপন করে আসছে।

এলাকাবাসী জানান, শতবছরের শ্মশানে গত রোববার কবর খোঁড়ার সময় পুরাতন হাড়গোড়ও পাওয়া যায়। সাড়ে তিন হাত গর্ত করে, বাঁশের কাটখি দিয়ে আমিনুলকে জিন্দা কবরে সহযোগিতা করে তার শিষ্য মুনতাজ আলী।

আমিনুল জানায়, সে নিজাম উদ্দিন আউলিয়া (র.) খাদেম। আধ্যাত্মিক সাধনার কথা কাউকে কিছু বলা যায় না।

ওই যুবকের মা জাহানারা বেগম গত রোববার থেকেই ছেলের এ আচরণ নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন।

গৌরীপুর থানার এসআই মো. রকিবুজ্জামান তালুকদার জানান, মঙ্গলবার আমিনুল ইসলামকে কবর থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় ইউপি মেম্বার ও পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। সে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৯:৫৪ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০১৬, মঙ্গলবার

এমআরআর