রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা সারা দেশের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বিভাগীয় কর্মশালার আয়োজন করেছে বিএনপি। ১৯ নভেম্বর রাজধানী ঢাকা দিয়ে এই কার্যক্রমের সূচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্য বিভাগগুলোতে কর্মশালা করা হবে।
বুধবার ১৩ নভেম্বর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৯ নভেম্বর ঢাকায় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ২৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম ও রাজশাহী,২৫ নভেম্বর খুলনা,৩০ নভেম্বর সিলেট,২ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ,৭ ডিসেম্বর রংপুর ও বরিশাল এবং ২১ ডিসেম্বর ফরিদপুর ও কুমিল্লায় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক ও প্রশিক্ষণ কমিটির সদস্যসচিব এবিএম মোশাররফ হোসেন,প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক রাশিদা বেগম হীরা,ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল,কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া,রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত,খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু,চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ,বরিশাল বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান,ফরিদপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন,রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু,সহত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড.নেওয়াজ হালিমা আরলী,জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো.আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।
১০ বিভাগে বড় সমাবেশের পরিকল্পনা
এদিকে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনি রোড ম্যাপ চায় বিএনপি। দাবি আদায়ে এবার মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এ লক্ষ্যে ১০ সাংগঠনিক বিভাগে বড় সমাবেশ করার চিন্তাভাবনা চলছে। আগামি মাস থেকে এসব সমাবেশ শুরু হতে পারে। শিগগির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে আলোচনায় চূড়ান্ত হবে সমাবেশের দিনক্ষণ। একই ইস্যুতে সমমনা দলগুলোকেও মাঠে নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির হাইকমান্ডের। তবে কোনোভাবেই সেই আন্দোলনকে চরম পর্যায়ে নেয়ার চিন্তা নেই। আপাতত নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার কৌশল নিয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতারা।
বিএনপি মনে করছে,বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা এবং নির্বাচনি রোড ম্যাপ ঘোষণা—এ দু’ইস্যুতে মাঠের কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব আলোচনা হয়েছে বলে জানা যায়।
সূত্র জানায়,সেই আন্দোলনের আগে মতৈক্য তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে। এর অংশ হিসেবে দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত রয়েছে। নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপি নেতারা মনে করছেন,রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার এবং নির্বাচনি প্রক্রিয়া দু’টিই সমান্তরালভাবে চলা উচিত। তবে সরকারের সব কার্যক্রমের ফোকাস হওয়া উচিত নির্বাচন।
১৩ নভেম্বর ২০২৪
এজি
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur