২০১৪ সালে কুমিল্লায় সিএনজি চালক মোঃ নাজমুল হাসান (১৪) কে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জবাই করে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
বুধবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা চতুর্থ আদালতের বিচারক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কোরপাই গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে মোঃ সুমন মিয়া (২৬) ও মৃত আলম মিয়ার ছেলে মোঃ শিহাব মিয়া (২০) এবং একই উপজেলার নয় কামতা গ্রামের মৃত আমীর হোসেন এর ছেলে মোঃ সোহেল মিয়া (২৮)। এছাড়াও ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি হলেন একই উপজেলার মৃত আবুল কাশেম এর ছেলে আবুল বাশার (৩৮)।
মামলার বিবরণে জানাযায়- ২০১৪ সালের ১৭ অক্টোবর বিকেলে ভিকটিম মোঃ নাজমুল হাসান সিএনজি চালানোর উদ্দেশ্যে বাড়ী হতে বের হয়ে ফিরে না আসায় অনেক খোজাখুজি করার একপর্যায়ে পরিবারের লোকজন লোক মারফতে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যেতে দেখতে পায় তাঁর ছেলে নাজমুলকে জবাই করে সিএনজিটি নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে নিহতে পিতা কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলাধীন মধ্যমতলা গ্রামের মৃত আবিদ আলীর ছেলে মোঃ আবদুর রব (৪৮) বাদী হয়ে আসামি মোঃ সুমন মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি সুমন মিয়া ও আবুল বাশারকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করিলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামি মোঃ সুমন মিয়া, মোঃ শিহাব মিয়া ও মোঃ সোহেল মিয়ার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড এবং আসামি আবুল বাশার এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত।
রায় ঘোষণাকালে আসামি মোঃ সুমন মিয়া, মোঃ সোহেল মিয়া ও আবুল বাশার আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন এবং অপর আসামি মোঃ শিহাব মিয়া অনুপস্থিত ছিলেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের বিজ্ঞ এপিপি এডভোকেট মোঃ জাকির হোসেন আমরা আশা করছি মহামান্য হাইকোর্ট এ রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবেন এবং আসামি পক্ষে নিযুক্তীয় কৌশলী এডভোকেট মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন রায়ে কপি হাতে পেয়ে শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
প্রতিবেদক: জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, ০৬ মার্চ ২০২৪