এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন। চালুর পর থেকে একই কোচ (র্যাক) দিয়ে ট্রেনটি পরিচালিত হয়ে আসছে। দেশের রেল যোগাযোগে সাম্প্রতিক সময়ে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও এর কোনো সুবিধা পায়নি মেঘনা একপ্রেস ট্রেন। অথচ এটি অন্যতম একটি লাভজনক রুট।
এসব বিষয় বিবেচনা করে মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনকে আধুনিকায়ন ও ট্রেনের গন্তব্যস্থল চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত বর্ধিত করার দাবি জানায় ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরাম। এর অংশ হিসেবে ফোরামের পক্ষ থেকে সম্প্রতি রেলমন্ত্রীর কাছে আবেদনও করা হয়। আবেদনের সঙ্গে একমত পোষণ করেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা দেন।
অবশেষে বুধবার (৭ ফ্রেব্রুয়ারি) রেলের পরিচালক (ট্রাফিক কন্ট্রোল) মিজানুর রহমান জানান, ফোরামের আবেদন রেল মন্ত্রণালয় গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। মেঘনা ট্রেনের পুরোনো র্যাক পরিবর্তন করে অবমুক্ত হওয়া অন্য র্যাক সংযোজন করা হবে এ মাসেই। মার্চের মধ্যেই মেঘনা এক্সপ্রেসের রুট কক্সবাজার পর্যন্ত বর্ধিত করা হবে। এছাড়া চাঁদপুর-চট্রগ্রাম রুটের যাত্রী চাহিদার কথা বিবেচনা করে আরও একজোড়া আন্তঃনগর ট্রেন দেওয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিচেনা করা হবে।
পরিচালক জানান, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বিষয়টি ফোরামের চিঠির কপিসহ পূর্বাঞ্চল রেলওয়েকে অবহিত করা হবে। এরপর দ্রুতই তা বাস্তবায়ন করা হবে।
এই বিষয়ে ফোরামের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সিটি এডিটর মিজান মালিক বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরাম চাঁদপুরবাসী ও চাঁদপুরের মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিষয়টিও তেমনই একটি উদ্যোগ। চাঁদপুরের মানুষের দুর্দশা লাঘবে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান, ইলিশের রাজধানী চাঁদপুরকে একটি পর্যটন জোন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ফোরামের পক্ষ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসক ও চাঁদপুরের পৌর মেয়রের কাছেও।
ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও স্বদেশ বাংলার সম্পাদক একেএম রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, ফোরাম এ পর্যন্ত অনেকগুলো জনবান্ধব উদ্যোগ নিয়েছে। প্রায় সবগুলো উদ্যোগই সফল হয়েছে। যে দু-একটি বিষয় বাকি আছে, তাও বাস্তবায়ন হবে বলে আশা রাখি। মেঘনা এক্সপ্রেসের বিষয়টি ফোরামের জন্য উজ্জ্বল মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, চাঁদপুর জেলার নানা সমস্যা সমাধানে ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরাম কাজ করছে। বিশেষ করে অসহায় মানুষের চিকিৎসায় সহযোগিতা, ব্রিজ-কালভার্ট সংস্কারে সহায়তা, স্কুল নির্মাণে সহায়তা, বৃক্ষ রোপন প্রভৃতি। ফোরামের পক্ষ থেকে চাঁদপুর সেতুর টোল প্রত্যাহারের জন্যও আবেদন করা হয়। এ বিষয়ে ফোরাম সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
চাঁদপুর টাইমস ডেস্ক/৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪