শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এমপি বলেছেন, আমাদের শিক্ষাক্রম নিয়ে যত রকম কথা বলা হচ্ছে, তার মধ্যে অধিকাংশ হচ্ছে মিথ্যাচার। সরকারের বিরুদ্ধে অন্য কোন ইস্যু না পেয়ে তারা বইয়ের পেছনে লেগেছে। শনিবার দুপুরে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে শেখ কামাল আন্তঃস্কুল-মাদ্রাসার অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা-২০২৩ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, যেখানে ভুল আছে সে নিশ্চয়ই আমরা সেটা সংশোধন করছি এবং করবো। পাঠ্য বইয়ে যখনই ভুল চিহ্নিত হবে তখনই শুদ্ধ হবে। কিন্তু যে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চলছে সেটি তো উদ্দেশ্যমূলকভাবে। কারণ শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে আর কোনো ইস্যু না পেয়ে একটি গোষ্ঠী এর পেছনে লেগেছে। কিন্তু এই ডামাডোলের মধ্যে যেটা চাপা পড়ে যাচ্ছে, সেটা হলো নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে আমাদের পুরো পঠন-পাঠন পদ্ধতি। আমাদের শিখন পদ্ধতি। এটি যে সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হতে যাচ্ছে। অপপ্রচারের মাধ্যমে এসব ঢাকা পড়ে যাচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা একটি আনন্দময় শিক্ষা পাচ্ছে, তারা সত্যিকার অর্থে যে করে করে শিখছে। যেটি তারা সারা জীবন ধারণ করবে, আত্মস্থ করতে পারবে এবং প্রয়োগ করতে পারবে প্রয়োজনমতো। মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন এসেছে। এই যে গুণগত পরিবর্তন এসেছে সেগুলো সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাচ্ছেন। তার মানে হচ্ছে কি সকলেই ভাসা ভাসা একটা জিনিস নিয়ে কথা বলছি। একজন চিৎকার করছে আরেকজন গলা মিলিয়ে যাচ্ছেন। এর তো কানো অর্থ নেই।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, শিক্ষাক্রমের যে বিশাল গুণগুলো রয়েছে এবং যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছে সে উদ্দেশ্যগুলো নিয়ে কথা বলা উচিত। সেটা সমাজের জন্য জরুরি। কিন্তু এই যে এক একটা বিষয় নিয়ে যারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে। তাদেরকে আরও উসকে দেবে। বরং গঠনমূলকভাবে শিক্ষাক্রম নিয়ে কি চেষ্টাটা করা হচ্ছে। কিভাবে শিক্ষার্থীদের আনন্দময় শিক্ষার মাধ্যমে তাদেরকে সত্যিকারে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দক্ষ ও মানবিক সৃজনশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। সেটাকে দেখা দরকার। সেখানে যদি কোন ভালো পরামর্শ থাকে এবং গঠনমূলক পরামর্শ থাকলে চামড়া নীতি গ্রহণ করব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোছাম্মৎ রাশেদ আক্তার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু, জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. তারেক হোসেনসহ জেলা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩