চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯ নম্বর গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ও ৬ নম্বর বড়কূল পূর্ব ইউনিয়নের সংযোগ সড়কটি গত ১৫ বছরেও উন্নয়নের চোঁয়া লাগেনি। এতো বছর পর এবার পালিশারা-দিগছাইল সড়কটি পাকাকরণের দাবী এলাকাবাসীর।
জানা যায়, দীর্ঘ ১৫ বছর আগে ইটের রাস্তা থাকলেও এখন খানাখন্দে ভরা সড়কটিতে মাঝে মাঝে রয়েছে ইটের স্মৃতি। বিশেষকরে বর্ষা আর অতিবৃষ্টির সময় সড়কটি দিয়ে যানবাহন দূরের কথা মানুষ চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। দুই ইউনিয়নের পালিশারা ও দিগছাইল গ্রামের স্কুল, কলেজ শিক্ষার্থী ও চাকুরীজীবী লোকজন সব চেয়ে বেশী দুর্ভোগে পড়তে দেখা যায়।
বর্তমান সরকারের চলমান উন্নয়নের চোঁয়া লাগেনি পালিশারা -দিগছাইল সংযোগ সড়কটি। বর্তমানে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য সড়কটি সংস্কার অতীব গুরুত্বপূর্ণ। তাই এবার সড়কটির গুরুত্ব তুলে ধরে দ্রুত পাকাকরণের দাবী জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
এই গ্রামে রয়েছে পালিশারা মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা, পালিশারা উচ্চ বিদ্যালয়, পালিশারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইটি নুরানী মাদ্রাসা ও পালিশারা বাজার। বিগত দিনে নির্বাচিত চেয়ারম্যানগণ একাধিকবার সড়কটি পাকাকরণের প্রতিশ্রিুতি দিলেও রয়ে গেছে প্রতিশ্রুতি। নতুন চেয়ারম্যানের প্রতি দৃঢ় আত্মবিশ্বাস এলাকাবাসীর। পালিশারা গ্রামের মানুষের প্রাণের দাবী এই সড়কটি এবার পাকা করণ করা হবে।
পালিশারা গ্রামের শাহাজান মিজি, মাসুদ, জাকির ও দিগছাইল গ্রামের বাসিন্ধা মাহবুব, কিরন, সাইফুল বলেন, স্বাধীনতার পর সড়কটি কিছু অংশ ইটের সলিং হলেও বর্তমানে আর কোন কাজ হতে দেখিনি। বর্তমান সরকারের টানা ক্ষমতায় দেশের চলমান উন্নয়নে আমাদের জনপ্রতিনিধিরা যেন ভুলে গেছে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির কথা। তাই আমরা দুই ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
দেশগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুর রহমান চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, আমাদের এ সড়কের কারনে অনেকে একপ্রকার বাদ্যহয়ে উপজেলা শহরে বাড়া বাসা ভাড়া করে থাকতে হয়। তাই আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে ৯ নম্বর উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নুরুর রহমান বেলাল চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, স্থানীয় সাংসদ মেজর অবসরপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমের প্রচেষ্টায় পালিশারা গ্রামের প্রধান সড়কটি দ্রুত পাকাকরণ করা হবে। ভোটের আগে গ্রামবাসীকে সড়কটি পাকাকরণের প্রতিশ্রুতিও দিয়ে ছিলেন তিনি।
৬ নম্বর পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ইতিমধ্যে এক কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের প্রক্রিয়া চলছে। বাকি রাস্তা স্থানীয় সংসদের হস্তক্ষেপে বাস্তবায়ন হবে বলে আমার বিশ্বাস।
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, স্থানীয় সাংসদের সাথে কথা বলে আগামি অর্থ বছরের মধ্যে রাস্তাটি পাকাকরণের প্রস্তাব গৃহীত হবে।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ২১ মার্চ ২০২২
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur