সোমবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৫ ০৭ : ৪১ অপরাহ্ন
বিনোদন ডেস্ক:
এই কিছুদিন আগেই চলচ্চিত্র ‘রানা প্লাজা’ মুক্তির সংবাদ নিয়ে মিডিয়ার সামনে হাজির হয়েছিলেন পরী মনি। কেঁদেছিলেন মুক্তির আনন্দে। রানা প্লাজ ধসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বহুল আলোচিত গার্মেন্টস কর্মী রেশমার চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে পরী মনিও ছিলেন গর্বিত। কিন্তু নানা জটিলতায় সেন্সর এর কাঁচিতে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে চলচ্চিত্রটি। সরকারি এ ধরণের হস্তক্ষেপে আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে স্বাধীন নির্মাণ।
কিন্তু কেন বারবার নিষেধাজ্ঞার ব্যারিকেড পড়ছে ‘রানা প্লাজা’ মুক্তিতে?
৪ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেতে যাওয়া চলচ্চিত্রটির মুক্তি স্থগিত করতে সোমবার আদালতে রিট আবেদন করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী। আবেদনের প্রেক্ষিত চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনী ও সম্প্রচারে ছয়মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘এ চলচিত্রের বিষয়ে এর আগেই একটি রায় দিয়েছিলো হাইকোর্ট। সে রায়ে এ সিনেমায় কিছু কাহিনী চিত্র আছে যে গুলো বাদ দিতে পর্যবেক্ষন দিয়েছিলেন আদালত। সিনেমার কিছু বিভৎস দৃশ্য, রেশমাকে ১৭ দিনে উদ্ধারের চিত্র, রেশমা নাম ব্যবহার বাদ দেয়া, সেনাবাহিনীর দায়িত্ব পালন, টিভির ভিডিও ফুটেজ ব্যাবহার না করতে সেন্সর বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। কিন্তু আদালতের সে আদেশ অমান্য করায় এ সিনেমার ওপর ছয়মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।’
তিনি আরো বলেন, আদালত তার আদেশে বলেছেন এরকম ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত চলচিত্রটি দেখে দেশের পোশাক শিল্পের ওপর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে এজন্য এ চলচিত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। মোখলেছুর রহমান বলেন, সেন্সর বোর্ড যদি আদালতের অবজারভেশন অনুসরণ করতো তাহলে হয়তো বা এ সিনেমাটি সম্প্রচারে আদালত নিষেধাজ্ঞা দিতো না।
আদালতের এ সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে নির্মাতা নজরুল ইসলাম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, ‘আমি এ ব্যপারে এখন পর্যন্ত কিছুই জানি না। তবে এমন কিছু ঘটলে তা আমরা আইনী প্রক্রিয়াতেই আগাবো।’
উল্লেখ্য, বিভিন্ন দৃশ্যের কারণে এ চলচ্চিত্রের ছাড়পত্র দীর্ঘদিন আটকে থাকলেও শেষ পর্যন্ত গত ১৬ জুলাই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড ‘রানা প্লাজা’ চলচ্চিত্রকে সনদপত্র দেয়। (বাংলামেইল)