এবার সৌদি আরবেও পাওয়া গেলো করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন। বুধবার (১ ডিসেম্বর) সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উত্তর আফ্রিকাফেরত এক ব্যক্তির শরীরে করোনার নয়া ধরন শনাক্ত করেছে তারা। উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে এটিই প্রথম ওমিক্রন শনাক্তের ঘটনা।
সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এসপিএ’কে জানিয়েছেন, উত্তর আফ্রিকা থেকে ফেরা এক লোকের শরীরে ওমিক্রন করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তি ও তার সংস্পর্শে যাওয়া লোকদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সবধরনের স্বাস্থ্য সতর্কতা অনুসরণ করা হচ্ছে।
গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমবারের মতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে করোনার নতুন ধরন শনাক্তের বিষয়ে সতর্ক করে। অবশ্য পরে জানা যায়, এর আগেই নেদারল্যান্ডসে পাওয়া গিয়েছিল ধরনটি। তখন এর আনুষ্ঠানিক কোনো নাম না থাকলেও ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপে দেরি করেনি বিশ্ব। আফ্রিকান দেশগুলোর ওপর একের পর এক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইউরোপ, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ অসংখ্য দেশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনার নতুন এই ধরনে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওমিক্রনে এমন কিছু মিউটেশন বা রূপান্তর ঘটেছে, যার ফলে এর বিরুদ্ধে প্রচলিত টিকাগুলো কার্যকর না-ও হতে পারে। তবে বিধিনিষেধের বিষয়ে পরিস্থিতি বিবেচনায় পদক্ষেপ নিতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাটি।
অনেক দেশের মতো সৌদি আরবও গত সপ্তাহে সাতটি দক্ষিণ আফ্রিকান দেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেয়। তবে উত্তর আফ্রিকার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ এখনো অব্যাহত রয়েছে।
করোনার সংক্রমণ কমে আসায় সম্প্রতি বিধিনিষেধ শিথিল করতে শুরু করেছিল সৌদি সরকার। দীর্ঘদিন পর গত অক্টোবরে মক্কা-মদিনার দুটি প্রধান মসজিদে পূর্ণ ধারণক্ষমতায় মুসল্লি প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল তারা।
সৌদি আরবে এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৮৩৬ জন করোনায় মারা গেছেন, আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ। সাড়ে তিন কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে এযাবৎ টিকা দেওয়া হয়েছে ৪ কোটি ৭০ লাখ ডোজেরও বেশি।