Home / জাতীয় / বাংলাদেশও যুদ্ধবিমান তৈরিতে একদিন সক্ষম হবে : প্রধানমন্ত্রী
শিশুর অকাল মৃত্যু
:ফাইল ছবি

বাংলাদেশও যুদ্ধবিমান তৈরিতে একদিন সক্ষম হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। এর মাধ্যমে বিমান চলাচল, বিমান নির্মাণ, গবেষণা, মহাকাশবিজ্ঞান চর্চা হবে। আমি আশা করি এর মাধ্যমে একদিন হয়তো বাংলাদেশে যুদ্ধ বিমান, পরিবহন বিমান এবং হেলিকপ্টারও তৈরি করতে সক্ষম হবে, ইনশাল্লাহ।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিমানবাহিনীকে উন্নত ও আধুনিকায়নে ভবিষ্যতে আরও আধুনিক, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন যুদ্ধবিমান ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি কেনার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী রোববার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী একাডেমি যশোরে শীতকালীন ‘রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ-২০২০’ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিমানবাহিনীতে শিগগিরই যুক্ত হবে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন, আনম্যান্ড এরিয়াল ভেহিকেল সিস্টেম, মোবাইল গ্যাপ ফিলার রাডার এবং সর্বাধুনিক এয়ার ডিফেন্স রাডার। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে আরও শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে তার সরকার বিমানবাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের ধারাবাহিকতায় আধুনিক উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিমান, হেলিকপ্টার, রাডার, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি সংযোজন করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,‘বিমানবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যাধুনিক পাঁচটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান ক্রয়ের জন্য চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি বিমান ইতোমধ্যে দেশে এসে পৌঁছেছে। বৈমানিকদের উন্নততর প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে আরও ৭টি অত্যাধুনিক কে-৮ডব্লিউ জেট ট্রেইনার বিমান সংযোজন করা হয়েছে এবং অচিরেই যুক্ত হতে যাচ্ছে পিটি-৬ সিমুলেটর। এখন হয়তো কোভিড-১৯ এর কারণে আমরা বেশি অর্থ ব্যয় করতে পারছি না। তবে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে বিমানবাহিনীকে আরও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার।’

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বিমানবাহিনীর মনোজ্ঞ ফ্লাইপাস্ট উপভোগ করেন। এসময় তাকে কুচকওয়াজের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সালাম জানানো হয়।

এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ৭৭ তম বাফা কোর্স এবং ডিরেক্ট এন্ট্রি-২০২০ কোর্স সম্পন্নকারীদের মাঝে ফ্লাইং ব্যাজ, ট্রফি এবং অন্যান্য পুরস্কার বিতরণ করেন।

বার্তা কক্ষ,২০ ডিসেম্বর ২০২০