এতো দিন পর্যন্ত সকালের হালকা রোদ থেকে যে পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যেত তা দিয়েই আমরা সুস্থ থাকতাম। কিন্তু মহামারি করোনা আমাদের জানিয়ে দিয়েছে, এই মরণ ভাইরাসকে রুখতে সবচেয়ে কার্যকর ভিটামিন ডি।
সম্পতি হাভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রায় একশ কোটি লোক ভিটামিন ডি এর অভাবে ভুগছে।
দেহের মোট চাহিদার ৮০ শতাংশ ভিটামিন ডি পাওয়া যায় সূর্যের আলো থেকে। সূর্যের আলো পড়লে এর প্রভাবে ত্বক ভিটামিন ডি তৈরি করে। ফলে এটিই ভিটামিন ‘ডি’র অন্যতম প্রধান উৎস। এছাড়া বিভিন্ন খাবার থেকে বাকি ২০ শতাংশ ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়।
দুপুরের ঠিক আগ মুহূর্তে সূর্য যখন আকাশের সবচেয়ে উঁচু স্থানে থাকে, তখনই শরীরের ত্বক সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ উৎপন্ন করে। তবে সানস্ক্রিন ছাড়া দীর্ঘ সময় প্রচণ্ড রোদে থাকা উচিত নয়।
দেহের যত বেশি অংশ খোলা রেখে রোদে থাকবে, তত বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যাবে। যেমন: শুধু হাত-মুখ খোলা রেখে রোদে থাকার চেয়ে পিঠসহ শরীরের অন্যান্য অংশ খোলা রাখলে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়। সুস্থ থাকতে দৈনিক ১৫ মিনিট রোদে থাকা ভালো।
৮০ শতাংশ তো আমরা রোদ থেকে পেয়ে যাচ্ছি, আর বাকি ২০ শতাংশের জন্য আমাদের নির্ভর করতে হয় খাবারের ওপর। যেসব খাবারে ভিটামিন ডি পেতে পারি তার মধ্যে রয়েছে পনির। পনির একটি মজাদার খাবার। একই সঙ্গে পনিরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-ডি।
মাশরুম ভিটামিন-ডি’র একটি আদর্শ উৎস। বিভিন্ন তরকারির মধ্যে মাশরুম ব্যবহার করলে তা যেমন স্বাদে উন্নত হয়, একই সঙ্গে তরকারির পুষ্টিগুণও বাড়ে।
এছাড়া সব মাছেই ভিটামিন ডি বিদ্যমান। বিশেষ করে চর্বিযুক্ত মাছ, যেমন- স্যামন, সার্ডিনস, টুনা, ম্যাককেরেল ইত্যাদিতে ভিটামিন-ডি’র পরিমাণ বেশি। দৈনিক ভিটামিন-ডি চাহিদার ৫০ শতাংশ পূরণ হতে পারে একটি টুনা মাছের স্যান্ডউইচ।
মনে রাখতে হবে, আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি কম থাকলে হাড়ের সমস্যা, হাড় ক্ষয়ে যাওয়া, বাতের ব্যথা, কিছু ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্বের মতো সমস্যা হতে পারে। কিন্তু আপনার শরীরে ঠিক কী মাত্রায় এই উপাদান রয়েছে, পরীক্ষা না করে ওষুধ খাওয়া কখনোই উচিত না।
বার্তাকক্ষ,০৮ নভেম্বর,২০২০;