খোরাকিভাতার দাবি মেনে নেয়ায় পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
২২ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নৌযান শ্রমিক-মালিকদের সঙ্গে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের বৈঠকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডোর গোলাম সাদেক, নৌযান মালিকদের পক্ষে কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মাহবুব উদ্দিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম ধর্মঘট প্রত্যাহার ঘোষণা দেন।
বৈঠকে শ্রমিকদের খাদ্যভাতা (খোরপোশ) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ছোট নৌযানের জন্য ১০০০ টাকা, ১০০০-১৫০০ টনের নৌযানের জন্য ১২০০ টাকা এবং ১৫০০ টনের বেশি ওজনের নৌযানের জন্য ১৫০০ হাজার টাকা খাদ্যভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ফলে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন আন্দোলনরত শ্রমিকরা।
এর আগে সোমবার খোরাকি ভাতাসহ ১১ দফা দাবিতে শ্রমিক ধর্মঘটে সারা দেশের নৌপথে পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। এতে সমুদ্রবন্দরগুলোতে খালাস কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। ঘাটে ঘাটে পণ্য নিয়ে অলস বসেছিল লাইটার জাহাজ।
পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটের বিষয়ে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘নৌ শ্রমিকরা যে দাবি করেছেন, তাদের মূল দাবি হচ্ছে খোরাকি ভাতা। এটা অবশ্যই তাদের ন্যায্য দাবি, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। গত এক বছরে তারা দুবার এই ধরনের ধর্মঘটে গেছেন। আমরা আলোচনা করে এটার একটা সমাধান করেছি।
প্রসঙ্গত, সোমবার মধ্যরাত থেকে পণ্য ও তেলবাহী নৌযান শ্রমিকদের লাগাতার এ ধর্মঘট শুরু করে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।
ঢাকা ব্যুরো চীফ,২২ অক্টোবর ২০২০