চাঁদপুর সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নে তালাক প্রাপ্ত অভিযুক্ত স্বামী বাবুল প্রধানিয়া (৩৫) এর এলোপাথালি ছুরিকাঘাত ও কাঠের রুয়ার আঘাতে গৃহবধু আছিয়া আক্তার মিতু (২৬) জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে মিতু চাঁদপুর আল মানার হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
২৩ মে শনিবার রাত সাড়ে আটটায় নিজ বাড়িতে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। আহত আছিয়া আক্তার মিতু সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নের রালদিয়া গ্রামের মহসীন হাওলাদারের স্ত্রী।
জানা যায়, গত ৭ বছর পূর্বে বাবুল প্রধানিয়া বাবলুর সাথে ৩ লক্ষ টাকা দেন মোহরে পারিবারিকভাবে আছিয়া আক্তার মিতুর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের মিরাজ নামের এক পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহন করে। বিয়ের পর থেকেই বাবলু প্রায় প্রতিদিনই মিতু কে মারধর করত। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার বৈঠক হলেও বাবলুর নির্যাতন চলতে থাকে। পরে বাধ্য হয়ে বাবলুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে মিতু। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর তালাকনামার মাধ্যমে বাবলু ও মিতুর বিবাহের বিচ্ছেদ হয়।
আহত মিতুর ভাই আঃ রহিম খান জানায়, শনিবার রাতে আমার বোন মিতু এশার নামাজ পড়ার জন্য অযু করতে ঘর থেকে বাহির হয়। এ সময় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা বাবলু পেছন থেকে কাঠের রুয়া দিয়ে বোনের মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে পড়ে যায়। পরে তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই হাতেসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাথালি আঘাতে রক্তাক্ত করে। বর্তমানে তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।
তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
প্রতিবেদক:মাজহারুল ইসলাম অনিক,২৪ মে ২০২০