ডেঙ্গুর প্রভাবে চাঁদপুরে মশারি ও মেডিসিনের অতিরক্ত মূল্য আদায় করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। আড়াইশ’ টাকার মশারি ৫শ’ : দেড়শ’ টাকার মেডিসিন ৬শ’ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
শুধুমাত্র রাজধানী নয়, ক্রমান্বয়ে ছড়িয়ে পড়ছে বিভাগীয় ও জেলাশহরগুলোতে। সে হিসেবে চাঁদপুরেও ৪ শতাধিক ডেঙ্গু রোগী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
এ খবর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর শহরের বাসিন্দাদের অনেকেই আগের তুলনায় সচেতন হচ্ছে। অনেকেই বাসার জন্যে ভালো মানের মশারি ও আশেপাশের ডোবা-নালায় মশক ঔষুধ ছিটানোর কাজ ব্যক্তি পর্যায়ে আবার কখনো সামাজিক সংগঠনগুলোর মাধ্যমে শুরু করেছে।
আর এ সুযোগের অপব্যবহার করছেন অসাধু কিছু ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে বস্ত্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা মশারি বিক্রি করেন তারা এবং ডেঙ্গু জ্বর পরীক্ষার মেডিসিন বিক্রয়কারীরা।
খবর নিয়ে জানা গেছে, ঢাকাসহ যখন চাঁদপুরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়তে শুরু করেছে, তখন থেকে এ সুযোগে ওইসব ব্যবসায়ীরা, মশারি ও মেডিসিনের নির্দিষ্ট দামের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করছেন।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ভুক্তভোগী অনেকে জানিয়েছেন, যেখানে অন্যান্য সময়ে একটি মশারি বিক্রি করা হতো ২, শ, থেকে আড়াই, শ টাকা, সেখানে ব্যবসায়ীরা তা বিক্রি করছেন সাড়ে ৪,শ থেকে ৫,শ টাকা করে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষজন যখন ডেঙ্গু আতংকে ডেঙ্গু জ্বর পরীক্ষার করার জন্য হাসপাতালে ভিড় জমান।
তখন বাহিরের ব্যবসায়ীরা এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে মেডিসিনের অতিরিক্ত দাম আদায় করছেন বলে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে লোকজন এ তথ্য জানিয়েছেন। যেখানে অন্যান্য সময়ে ডেঙ্গুজ্বর পরীক্ষা করার এনেস ওয়ান, আই জিজি – আই জি এম, নামক মেডিসিন বিক্রি করা হতো, ১৮০ টাকা ধরে।
সেখানে কিছু অসাধু ঔষধ ব্যবসায়ীরা সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারা ওই মেডিসিন বিক্রি করছেন, সর্বনিন্ম ২৮০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বচ্চো সাড়ে ৪,শ ৫, শ এবং ৬,শ টাকা করে। ডেঙ্গুর এমন প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছে এভাবেই বাধ্যতামূলক ভাবে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি, ১০ আগস্ট ২০১৯