ফরিদগঞ্জ ডায়াবেটিক (প্রা.) হাসপাতালে বুধবার (৩ জুলাই )সকালে চিকিৎসকের অবহেলায় সুমি নামের এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, জসিমউদ্দিনের স্ত্রী সুমি আক্তার (২৫) কে মঙ্গলবার (২ জুলাই ) রাত ১২ টায় হাসপাতালে পেটের ব্যাথাজনিত কারণে ভর্তি করা হয়। রাতে ডাক্তার আসেনি এমনকি সকালে ১১ টার দিকে ডাক্তার এসে আল্ট্রাসোনো করানোর পর হুইল চেয়ারে করে বেডে নেয়ার সময় মৃত্যু ঘটে।
সুমির স্বামী বাচ্ছু মিয়া, দেবর মনির হোসেন ও সৈয়দ আহাম্মদ জানায়, ভর্তির পর রাতে ৩-৪ বার ফোন করেও ডাক্তারের খবর নেই। ডাক্তার রাতে আসেনি। পরের দিন সকালে ৪-৫ বার ফোন করলে ১১ টার সময় ডাক্তার এসে আল্ট্রা করার পর রিপোর্ট দেখে ঢাকায় রেফার করে। রাতে গ্যাসটিকের ও ব্যাথার দু‘টি ইনজেকশান করা হয়। ডাক্তারের অবহেলায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে সুমির মৃত্যু হয় বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের মালিক ও ডাক্তার মো. সাদেকুর রহমান জানান, চিকিৎকের অবহেলায় নহে রোগীর অসচেতনতাই মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
দীর্ঘসময় ডাক্তার কারণ সম্পর্কে তিনি জানান, ‘রাতে সবসয়মই আমাদের ল্যাব বন্ধ থাকে । এ জন্য সকাল ৯ টায় আমার স্ত্রী গাইনি ডাক্তার ফারহানা ইসলাম নিপা আল্ট্রসোনোগ্রাফি রির্পোট দেখে ঢাকায় নিতে পরামর্শ দেন। সুমি ২২ সপ্তাহের অন্ত:স্বত্ত্বা ছিল।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শিপন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘জেলা সিভিল সার্জকে অবহিত করা হয়েছে। মৃত্যুও কারণ অনুসন্ধানপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রকিব চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘ঘটনার বিষয জেনেছি, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জেলা সিভিল সার্জন(ভারপ্রাপ্ত) ডাক্তার একেএম মাহাবুবুর রহমান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘আমরা এ ঘটনার বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।’
মো. শিমুল হাছান
৩ জুলাই ২০১৯