Home / ফিচার / শ্বশুর বাড়ির ইফতার সামগ্রীকে না বলুন
iftar-....

শ্বশুর বাড়ির ইফতার সামগ্রীকে না বলুন

কুসংস্কার থেকে মুক্তি চায় অসহায় গরীব মানুষগুলো। বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলের মানুষ আজ সোচ্চার, তারা প্রতিবাদ করেছে। বিয়েতে দাওয়াত দিয়ে মানুষ খাওয়ানো নামে টাকা গুনে, কত টাকা উঠেছে।

কয়েক দিন আগের কথা, এই ব্যপারটা প্রায়ই হচ্ছে, ধনী, গরীব, মধ্য বিত্ত অনেকেই আজকাল বিয়ের দাওয়াত পেলে হতাশা প্রকাশ করে, কারণ ১ হাজার থেকে শুরু করে ৫-১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়।

একজন লোকের হতাশা প্রকাশ দেখলাম। নিমন্ত্রণ পেয়ে খুব হতাশায় নিমজ্জিত ৩/৫ হাজার টাকা দিতে হবে না হলে মান থাকবে না। ভদ্রলোক মাসে ৩০/৩৫ হাজার টাকা বেতন পান। এই টাকা দিয়ে সব সামলাতে হয়। একটা বাচ্চা স্কুলে পড়ে। আমি তাকে কি করে তার মনোজগতকে পরিবর্তন করি। বললাম টাকা না দিয়ে কিছু কিনে গিফট হিসেবে দিলেও এই রেওয়াজ পরিবর্তন হতে পারে।

আমাদের সমাজে এই রকম কিছু রেওয়াজ বা প্রথা প্রচলিত আছে যার কারনে অনেক মানুষের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে একটি হলো রমজান এলেই শ্বশুর বাড়ির ইফতার সামগ্রী আসতেই হবে। মেয়ের বাবা-মায়েরা এ নিয়ে কিছুটা বিপাকে থাকেন। এরকম বিষয়ে এক বন্ধুর সাথে আলাপ হাচ্ছিলো পাশের একটা লোক বলল এই রকম মানুষের খিলক্ষেত ওভার ব্রিজের ওপর ভিক্ষা করা উচিৎ।

লেখাটি পড়ে আমাকে কেউ ছোট লোক বলতে পারেন, কিন্তু বাস্তবতা এটাই। এক বার হলেও আপনি জীবনে এই রকম হতাশায় পরেছিলেন, বন্ধু, ভাই, বউ, মা বাবা কারো সাথে বলেছেন ২/৫ হাজার টাকা জলে যাবে।

আসুন এই কাজটি বাদ দেই। বাড়ির পাশের ৭০ বছর বয়সী চাচার জন্য ৫০০ টা টাকা ঈদের বাজেটে রাখি যার কামাই করার মত কেউ নেই।

শ্বশুর বাড়ির ইফতার লেখাটি মুক্তমত হিসেবে প্রকাশিত