উষ্ণতম মাস আবার তাপদাহ, চলবে তিন-চার দিন ।ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব কেটে যাওয়ার এক দিনের মাথায় সোমবার (৬ মে) থেকে শুরু হয়েছে তাপদাহ। এরমধ্যে যশোর অঞ্চলে তাপদাহ সবচেয়ে বেশি। আবহাওয়াবিদরা জানান, শুরু হওয়া তাপদাহ আরও দুই থেকে তিনদিন অব্যাহত থাকবে।
চলতি মে মাসের জন্য আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে, যার একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিনটি কালবৈশাখী এবং অন্যান্য স্থানে চার থেকে পাঁচটি বজ্রসহ ঝড়ের আশঙ্কা আছে। দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এক থেকে দুইটি এবং অন্যান্য স্থানে দুই থেকে তিনটি তাপদাহ হতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা জানান, সোমবার থেকে শুরু হওয়া মৌসুমের দ্বিতীয় দফা তাপপ্রবাহে তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। পাশাপাশি তাপপ্রবাহের বিস্তারও বাড়ছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, এই তাপদাহ আরও দুই থেকে তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে। ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা ও বদলগাছি অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, এপ্রিল ও মে হচ্ছে বছরের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। সাধারণত এই সময়ে একটি ঘূর্ণিঝড় ও একাধিক নিম্নচাপ তৈরি হয়ে থাকে।
আগামী কয়েক দিনের আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরে আরিফ হোসেন বলেন, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ এবং দেশের মধ্যাঞ্চলে তাপদাহ শুরু হয়েছে। আগামী চার থেকে পাঁচ দিন এই তাপদাহ চলতে পারে, যা দেশের নতুন নতুন এলাকায় বিস্তৃত হতে পারে।
গত এপ্রিল মাসের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গত এপ্রিলে সারাদেশে গড়ে ২০ শতাংশ বৃষ্টি কম হয়েছে। তবে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় পারদ উঠেছে ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকাসহ হালকা বৃষ্টির আভাস রয়েছে।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:১১ পি.এম, ৮ই মে ২০১৯
ইব্রাহীম জুয়েল