চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ কুটির বাজার জামে মসজিদে বুধবার(১০ এপ্রিল) ফজরের নামাজের জামায়াত চলা অবস্থায় ইমামের ওপর মহিলাদের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, গতকাল কুটিরবাজার জামে মসজিদে মো. সৈয়দ আহাম্মেদ প্রতিদিনের ন্যায় ফজরের নামাজের জামায়াত পরিচালনা করারর সময় মসজিদ সংলগ্ন বাড়ির ৩ জন মহিলা বোরকা পড়ে মসজিদে প্রবেশ করে। প্রথমে মরিচের গুঁড়া ইমামের চোখে ছিটিয়ে ইমামকে জি আই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। তাৎক্ষনিক মুসল্লিরা হামলাকারী মহিলাদের আটক করে পরে ছেড়ে দেয়।
মসজিদের মোয়াজ্জেন সিরাজ উল্যা,মুসল্লি বসির আহমেদ ও তানভীর হোসেন জানায়, ইমামের সরলতার সুযোগে হুজুরের সাথে এলাকার নুরুল আলমের মেয়ে রিমার সাথে বিয়ের প্রস্তাব দিলে উক্ত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। নুরুল আমিনের পরিবার হুজুরকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে আসছে। মসজিদ কমিটির কাছে ইমাম সাহেব নিরাপত্তা চেয়ে অভিযোগ করে আসছে।
ঘটনার দিন হুজুরের চোখে মুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে জিআই পাইপ দিয়ে আঘাত করার সময় আমরা হুজুরকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মসজিদের সহ-সভাপতি ও হামলা কারীদের পিতা নুরুল আলম সর্দার জানান, আমার মেয়ে রুমানা আক্তার রিমাকে হুজুর প্রায়ই উত্যক্ত করে আসছিলো। মুসল্লি ও এলাকাবাসীর অভিযোগ ভিত্তিহীন।
বুধবার সকালে আমার মেয়ে রিক্তা সুলতানা শশুর বাড়ি যাওয়ার পথে এলাবাসী আমার মেয়ের উপর অতর্কিত হামলা করে আহত করে। আমার মেয়েকে প্রথমে ফরিদগঞ্জ ও পরে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে মসজিদের ইমাম ছৈয়দ আহমেদের মুঠোফোনে একাদিকবার চেষ্টা করে ও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনায় সংল্লিষ্ট এলাকার মুসুল্লিরা একত্রিত হয়ে হামলাকারী মহিলাদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে। তাছাড়া গন-স্বাক্ষরে অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রকিবের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে জানা যায়,এলাকার বেশ ক’জন আমাকে মোবাইল ফোনে ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছে, এ পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্টাফ করেসপন্ডেট
১১ এপ্রিল,২০১৯