প্রথম সেশনে মাত্র ৬২ রান। দ্বিতীয় সেশনে তার পুরোপুরি উল্টো। দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ রান তুললো ১০৫। ঝড়ো গতিতে ব্যাট করছেন মুশফিকুর রহীম আর মেহেদী হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষে বাংলাদেশের রান দাঁড়ালো ৭ উইকেটে ৪৭০। ১৯৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন মুশফিকুর রহীম এবং ৪০ রান নিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ।
সর্বশেষ আট ইনিংসে ২০০ রানের গণ্ডিও পার হতে পারেনি বাংলাদেশ। টেস্ট ব্যাটিংয়ের এতটাই হতচ্ছিরি অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছিল টাইগারদের। আশা ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হয়তো বা সেই অবস্থার উত্তরণ ঘটবে। কিন্তু সিলেট টেস্টেও সেই ভরাডুবি। ফলশ্রুতিতে বিশাল হার। ঢাকা টেস্টে এসেই অবশেষে হতাশার ব্যাটিং থেকে বেরিয়ে আসতে পারলো বাংলাদেশ।
জোড়া সেঞ্চুরিতে ঘুরে দাঁড়ানোই নয় শুধু, বিশাল স্কোরেরও হাতছানি দিচ্ছে বাংলাদেশের সামনে। দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনেই বাংলাদেশের রান পেরিয়ে গেছে ৪০০’র গন্ডি। মুশফিকুর রহীম আর মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।
প্রথম দিনই ৩০০ প্লাস রান। বাংলাদেশের অবস্থা খালি চোখেই দেখা যাচ্ছিল খুব ভালো। উইকেট ৫টি চলে গেলেও ক্রিজে ছিলেন সেঞ্চুরি করা মুশফিকুর রহীম এবং অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সে কারণেই আশায় বুক বাধা যে, বাংলাদেশ এই টেস্টে ভালো কিছু করবে।
দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকে রয়ে-সয়ে খেলা শুরু করেন বাংলাদেশ দলের এই দুই ব্যাটসম্যান। সম্পর্কে ভায়রা ভাই, বাংলাদেশ দলের নির্ভরতার প্রতীকও বটে। দু’জনের ব্যাটে তাই দিনের প্রথম সেশনটা বেশ স্বচ্ছন্দেই কাটিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ দল।
উইকেট বাঁচিয়ে রেখে সেশনে ত্রিশ ওভার ব্যাট করে প্রথম সেশনে বাংলাদেশ রান করেছে মাত্র ৬২। পাঁচ উইকেটে ৩৬৫ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় টাইগাররা। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে পুরো সেশনে কোনো উইকেট হারায়নি স্বাগতিকরা। প্রথম দিনে করা ১১১ রানের সাথে ২৪ রান যোগ করেছেন মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ৩৫ রান নিয়ে।
কিন্তু মধ্যাহ্ন বিরতির পর উইকেটে এসেই অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের উইকেট হারাতে হয়েছে বাংলাদেশকে। মুশফিকের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি গড়েন তিনি। শুধু রিয়াদের উইকেটই নয়, সিলেটে দৃঢ়তা দেখানো আরিফুল হকও দ্রুত উইকেট হারিয়ে ফিরে গেলেন সাজঘরে।
দুই উইকেটই নিয়েছেন কাইল জার্ভিস। ইনিংসের ১২২তম ওভারে ভুলটা করে বসেন রিয়াদ। ব্যাটের খোঁচা লাগান বলে। সেটি গিয়ে জমা পড়ে উইকেটের পেছনে চাকাভার হাতে। ১১০ বল খেলে ৩ বাউন্ডারিতে ৩৬ রান করে ফিরে গেলেন অধিনায়ক।
তার ফেরার পর মাঠে নামেন আরিফুল হক। তিনি বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। সেই কাইল জার্ভিসের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে পয়েন্ট ক্যাচ তুলে দেন ব্রায়ান চারির হাতে। মাত্র ৪ রান করে ফিরে যান আরিফুল।
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur