চাঁদপুরের ৮ উপজেলাজুড়ে আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি বছর ১ শ’৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। পাশাপাশি ন্যায্য দাম পেয়ে আনন্দের হাসি ফুটে উঠেছে কৃষকের মুখে।
গোটা উপজেলা জুড়ে আখের বেশ চাহিদা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মতলবের সু-স্বাদু ও রসালো আখ মিষ্টি বেশি হওয়ায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাইকাররা নিয়ে যাচ্ছে। এতে করে দেশের আখ রসের চাহিদায় চাঁদপুরে আখের ফলন ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
মতলব উত্তরের ছোট হলদিয়া, নিশ্চিন্তপুর, নান্দুরকান্দি, লবাইরকান্দি, বেগমপুর, বড় হলদিয়া, সরদারকান্দি, ওটারটরম হাজীপুর, রাঢ়ীকান্দিসহ ক’টি এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কৃষকরা এখন আখ তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এমনকি ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে পাইকাররা এসে মিনি ট্রাক ও ট্রলারযোগে আখ নিয়ে যাচ্ছে।
এ অঞ্চলের আখ খুব মিষ্টি হওয়ায় ঢাকায় মতলবের আখের চাহিদা অনেক বেশি। প্রতিটি আখ পাইকারি ২০-২৫ টাকা দরে কৃষকরা পাইকারি বিক্রি করছে। ঢাকায় তা’পাইকারি ২৫-৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয়।
হাজীপুর গ্রামের কৃষক মতিন মিয়া বলেন, ‘এবার তিনি ২৫ শতাংশ জমিতে আখ চাষাবাদ করেন এবং ফলনও খুব ভালো হয়েছে। এলাকার অনেকেই এবার আখ চাষ করেছে। তাদেরও ফলন খুব ভালো হয়েছে। খুচরা বাজারে বড় সাইজের আখ ৪৫-৫০ টাকা ও মাঝারি সাইজের আখ ৩০-৪০ টাকা ও ছোট সাইজের আখ ১৫-২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।’
এ উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুচরা আখ ব্যবসায়ীদের কেনা-বেচা খুব ভালো চলছে। প্রচন্ড রোদে রসালো এ আখ পেয়ে ক্রেতারা আখের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে। অনেকে আবার আত্মীয়দের বাড়ি বা নিজের বাড়িতেও আখ কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
মতলব উত্তরের কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের ভেতরে ১শ’৫০ হেক্টর জমিতে ৬টি জাতের আখ আবাদ হয়েছে। সেচ প্রকল্পের উঁঁচু জমিগুলো পলি ও দো-আঁশ মাটির পরিমাণ বেশি থাকায় আখের ফলন প্রতি বছরই ভালো হয়।
এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চাহিদার চেয়েও মূল্য বেশি পেয়ে কৃষকরা একদিকে যেমন খুশি, অন্যদিকে প্রতি বছরই ‘ চিবিয়ে খাওয়া’ আখ চাষের দিকে ঝুঁকছে কৃষকরা।
মতলব উত্তর কৃষিকর্মকর্তা মো.সালাউদ্দিন বলেন,‘স্থানীয় চাঁদপুর গেন্ডারী-১ শ’, মিশ্রিমালা, অমৃত, ঈশ্বরদী-১ ও ঈশ্বরদী-২ জাতসহ ৬টি জাতের আখ চাষ হয়েছে। আখের চারা রোপণ থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত ৬–৮ মাস সময় লাগে। বিভিন্ন রোগবালাই থেকে কৃষকরা যেন তাদের ফসল বাঁচাতে পারে সে জন্য যথাসময়ে কৃষি অফিসের মাধ্যমে সঠিক পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় আখ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।’
করেসপন্ডেন্ট
আপডেট,বাংলাদেশ সময় ৭:০৫ পিএম,৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮,শুক্রবার
এজি