ছোট হয়ে আসছে রাশিয়া বিশ্বকাপ। ৩২ থেকে ১৬-তে। এখন থেকে প্রতিটি রেসই ফাইনাল। হারলেই বিদায়।এই বাঁচামরার লড়াই যুদ্ধ প্রথম শুরু হতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্সের ম্যাচ দিয়ে। বাংলাদেশ সময়ে আজ রাত ৮টায় শুরু হবে ছন্দময় ফুটবলের সঙ্গে পাওয়ার ফুটবলের এ লড়াই।
আসরের প্রথম ম্যাচ থেকেই দারুণ ছন্দে আছেন ফরাসিরা। গ্রুপপর্বে সেরা দল হয়ে নকআউটের টিকিট কেটেছে ফ্রান্স।
এর আগে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা ১১ বার মুখোমুখি হয়েছে। আর্জেন্টিনা জিতেছে ছয় বার, ফ্রান্স দু’বার। ড্র হয়েছে বাকি তিনটি ম্যাচ।
* কখনও কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে হারাতে পারেনি ফ্রান্স।
* মুখোমুখি হওয়া ১১ ম্যাচের আটটিতেই আর্জেন্টিনার জালে বল জড়াতে পারেনি ফরাসিরা।
* ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে দু’বার বিশ্বকাপ জিতেছে লাতিন পরাশক্তি আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে ১৯৯৮ সালে ঘরের মাঠে নিজেদের একমাত্র বিশ্বকাপ জেতে ফ্রান্স।
* পেনাল্টি শুট আউট বাদ দিলে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বের শেষ ১১ ম্যাচে ফরাসিদের হার মোটে একটি। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন জার্মানির কাছে একমাত্র হারটি ১-০ গোলে।
* নিজেদের শেষ ১৩টি বিশ্বকাপে ১২ বারই ন্যূনতম শেষ ষোলোয় পৌঁছেছে আর্জেন্টিনা। একমাত্র ২০০২ বিশ্বকাপে গ্রুপপর্ব থেকে ছিটকে যায় লাতিন পরাশক্তিরা।
* বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে এর আগে ৬৬৬ মিনিট খেলে কোনো গোল করতে পারেননি আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। অবশ্য ফ্রান্সের বিপক্ষে সর্বশেষ গোলের দেখা পাওয়া আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় তিনিই। ২০০৯ সালে একটি প্রীতি ম্যাচে ফরাসিদের বিপক্ষে গোল করেছিলেন বার্সেলোনা তারকা, দল জিতেছিল ২-০ গোলে।
* ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে দেখা যেতে পারে পিএসজির পাঁচজন খেলোয়াড়কে। ফ্রান্স দলে আছেন লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নদের তিন সদস্য- কিলিয়ান এমবাপ্পে, আলফুঁস আরিওলা ও প্রেসনেল কিম্পেম্বে। আর্জেন্টিনায় আছেন আরও দু’জন, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া ও জিওভানি লো সেলসো। অবশ্য ডি মারিয়া ও এমবাপ্পে বাদে বাকিদের শুরুর একাদশে থাকার সম্ভাবনা সামান্যই।
* আন্তর্জাতিক ফুটবলে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ ৬৫ গোল করেছেন লিওনেল মেসি। আর সর্বোচ্চ ১৪৬ ম্যাচে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন হাভিয়ের মাসচেরানো। দু’জনেই আছেন এবারের বিশ্বকাপের আর্জেন্টিনা দলে।
* আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড গনজালো হিগুয়াইন দেশের হয়ে নিজের শেষ আট ম্যাচে কোনো গোল করতে পারেননি।
* আর্জেন্টিনার ছয়জনের (এভার বানেগা, গাব্রিয়েল মের্কাদো, হাভিয়ের মাসচেরানো, লিওনেল মেসি, মার্কোস আকুনা ও নিকোলাস ওতামেন্দি) ও ফ্রান্সের তিনজনের (পল পগবা, ব্লেইস মাতুইদি ও কোরোঁতাঁ তোলিসো) একটি করে হলুদ কার্ড রয়েছে। শেষ ষোলোতে একটি হলুদ কার্ড পেলেই এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন তারা।
* ফ্রান্সের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৭৯ ম্যাচে কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন রেমোঁ ডমেনেক ও দিদিয়ের দেশম। শেষ ষোলোতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে কোচের দায়িত্ব পালনের রেকর্ডটি এককভাবে নিজের করে নেবেন দেশম।
* গ্রুপপর্বের তিন ম্যাচে তিনটি গোল করেছে ফ্রান্স যার একটি এসেছে স্পটকিক থেকে ও আরেকটি আত্মঘাতী। হজম করেছে এক গোল। ওয়েবসাইট।
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur