নবনিযুক্ত সেনাবাহিনী প্রধান চাঁদপুরের কৃতিসন্তান আজিজ আহমেদকে জেনারেলের র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ২৬ জুন, সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত তাঁকে এই র্যাংক ব্যাজ পরান।
বাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম বলেছেন, জেনারেল র্যাংক ব্যাজ পরানোর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন সেনাপ্রধানকে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে অভিনন্দন জানান।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদও এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে তখনই তাঁর দল সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার সেনাবাহিনীকে উন্নত এবং আধুনিক একটি বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সুইপার, ক্লিনার ও বারবারের মতো নিম্নতম পদগুলো যুগোপযোগী করতে এসব পদের পদবি পরিবর্তন করেছে।’
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মাদ জয়নুল আবেদীন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১৮ জুন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আহমেদকে সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। ওই দিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক গেজেটে বলা হয়, আজিজ আহমেদকে জেনারেল পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে এবং তিনি ২৫ জুন বিকেল থেকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন।
আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদায়ী সেনাপ্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হকের কাছ থেকে গত সোমবার নবনিযুক্ত সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
আজিজ আহমেদ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক হিসেবে ২০১২ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে ২০১৬ সালের ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
আইএসপিআর জানায়, জেনারেলের র্যাংক ব্যাজ পরিধানের অনুষ্ঠানের পর সেনাবাহিনী প্রধান শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাত্বরণকারী সশস্ত্র বাহিনীর বীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর সেনাকুঞ্জে সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। তিনি সেখানে একটি গাছের চারা রোপণ করেন। (কালেরকণ্ঠ)