বিশ্বে বেঁচে থাকা সর্বশেষ পুরুষ সাদা গন্ডারের মৃত্যু হয়েছে। কয়েক মাসের ভগ্ন স্বাস্থ্য ও বার্ধক্যের কারণে প্রাণীটির মৃত্যু হয়েছে। এই গন্ডারের নাম ছিল ‘সুদান’। বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। কেনিয়ার একটি সংরক্ষণাগারে থাকা এ প্রাণীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে সাদা প্রজাতির গন্ডারের বংশবিস্তার হুমকির মুখে পড়ল।
মঙ্গলবার বিবিসি জানিয়েছে, সাদা গন্ডার সুদান কেনিয়ার সংরক্ষিত বন ওল পেজাতা কনজারভেন্সিতে গতকাল সোমবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তাদের কেবল দুই সদস্য এখন পৃথিবীতে টিকে আছে। মেয়ে আর নাতনি। মহাবিপন্ন এই প্রাণীর বংশ টিকিয়ে রাখতে প্রাকৃতিক কোনো উপায় আর থাকল না বিশ্ববাসীর কাছে। গন্ডারের তত্ত্বাবধায়ক জানিয়েছেন, ১৯৭৩ সালে সুদানের জন্ম। কয়েক মাস ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিল ৪৫ বছর বয়সী গন্ডারটি।
সংবাদ সংস্থা সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেনিয়ার ওআই পিজিটা কনসারভেন্সিতে সুদান থাকত। এলোডি সাম্পে নামে পিজিটার এক প্রতিনিধি বলেন, ‘সে ভদ্র দানব ছিল, তার স্বভাবও ছিল মজার। তার আকার দেখে তাকে দর্শনার্থীরা ভয় করত। কিন্তু তাকে ভয় করার মতো কিছু ছিল না।’ তিনি বলেন, ‘গবেষকেরা সুদানের জিনগত কিছু উপাদান সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন। বেঁচে থাকা দুটি নারী গন্ডারের মাধ্যমে তা কৃত্রিম উপায়ে সফলভাবে প্রজনন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
২ কোটি ৬০ লাখ বছর ধরে পৃথিবীর বুকে টিকে আছে আধুনিক গন্ডার। হাতির পরই এরা সবচেয়ে বড় স্থলচর স্তন্যপায়ী প্রাণী। উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়েও আফ্রিকা দাপিয়ে বেড়াত লাখ লাখ গন্ডার। এই প্রাণীর পাঁচটি প্রজাতি রয়েছে। এগুলোর একটি সাদা গন্ডার প্রজাতি আবার দুই উপপ্রজাতিতে বিভক্ত। একটি দক্ষিণাঞ্চলীয়, অপরটি উত্তরাঞ্চলীয়। এ দুই উপপ্রজাতির মধ্যে দ্বিতীয়টি বিরলই বলা চলে। একই সঙ্গে মহাবিপন্নও।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১২: ১০ পি.এম ২১মার্চ,২০১৮বুধবার
এ.এস
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur