খুলনা ১৬৭ রান করার পর মনে হচ্ছিল ম্যাচটা জিততে রংপুরকে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে। ২৫ রানের মধ্যে সোহাগ গাজী ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচটা অনেকটাই নিজেদের দিকে নিয়ে চলে যায় খুলনা। তবে তখনো যে গেইল ক্রিজে, তাই জয়ের আশাটা অত সহজে করেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ম্যাচে শেষে সেই গেইলই ভোগালেন খুলনাকে। ৮ উইকেটে ম্যাচটা জিতে কোয়ালিফায়ার পর্বে উঠে গেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার রংপুর। ৫১ বলে ১৪ ছয়ে ১২৬ রান করে ম্যাচের নায়ক গেইল।
১৬৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২৫ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর। সেখান থেকে দলকে একাই টেনে তোলেন গেইল। ২৩ বলে করেন হাফ সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরি করতে খেলেন আরো ২২টি বল। শেষ ছয় বলে নেন ২৬ রান। সব মিলিয়ে মাত্র ৫১ বলে ১২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা।
আজ গেইলকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। ৩৬ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন মিঠুন। খুলনার হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন জসুয়া আর্চার।
এর আগে কোয়ালিফায়ার পর্বে যেতে রংপুর রাইডার্সের সামনে ১৬৮ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা।
ব্যাটিংয়ে নেমে মাশরাফির বোলিংয়ের সামনে সুবিধা করে উঠতে পারছিলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাইকেল কিলিঞ্জার। এক প্রান্তে চাপ ধরে রাখার সুবিধাটাও পান মাশরাফিরা। চতুর্থ ওভারে শান্তকে ফিরিয়ে দেন সোহাগ গাজী। এরপর দলীয় ৩৪ রানে আফিফ হোসেনকে ক্লিন বোল্ড করেন লাসিথ মালিঙ্গা।
উইকেটে এসেই ঝড় তোলেন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুটি ছয় ও দুটি চারে ৫ বলে ২০ রান করেন তিনি। তবে নিজের ষষ্ঠ বলে বাউন্ডারি সীমায় মাহমুদউল্লাহকে তালুবন্দি করেন সোহাগ গাজী। ওপেনার মাইকেল কিলিঞ্জার বেশ কিছু সময় ক্রিজে কাটালেও ২৬ বলে করেন মাত্র ২১ রান।
আরিফুল হক রানের চাকাটা সচল করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ৩০ বলে ২৯ রান করেন আরিফুল। তবে টাইটানসদের হৃষ্টপুষ্ট সংগ্রহ এনে দেন কার্লোস ব্রেথওয়েট ও নিকোলাস পুরান। মাত্র ৯ বলে ২৫ রান করেন ব্রেথওয়েট আর ২২ বলে ২৮ রান করেন নিকোলাস।
রংপুরের হয়ে দুটি উইকেট নেন মালিঙ্গা। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নেন সোহাগ গাজী, নাজমুল হোসেন অপু, রবি বোপারা ও রুবেল হোসেন।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৬:১০ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭, শুক্রবার
এএস