Home / চাঁদপুর / ১৯-২৫ জুলাই সপ্তাহব্যাপি বৃক্ষ মেলা ২০১৭
১৯-২৫ জুলাই সপ্তাহব্যাপি বৃক্ষ মেলা ২০১৭

১৯-২৫ জুলাই সপ্তাহব্যাপি বৃক্ষ মেলা ২০১৭

স্বাস্থ্য,পুষ্টি,অর্থ চাই,দেশি ফলের গাছ লাগাই’এ প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও কৃষি ও বন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১৯-২৫ জুলাই পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপি জাতীয় বৃক্ষ মেলা ২০১৭ উদযাপন হচ্ছে ।

চাঁদপুরে জেলা প্রশাসন,বন ও কৃষি বিভাগের যৌথ আয়োজনে ১৯-২৫ জুলাই পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপি চাঁদপুর হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ‘বৃক্ষ মেলা ২০১৭’পালিত হবে।

চাঁদপুরে এর উদ্বোধন করবেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো.আব্দুস সবুর মন্ডল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার,জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল ও কুমিল্লা অঞ্চলের বন বিভাগীয় ঊর্ব্ধতন কর্মকর্তা মো.মাহবুবুর রহমান ।

কৃষি সম্প্রসারণ অথিদপ্তর খামারবাড়ি চাঁদপুরের কৃষিবিদ আবদুল মান্নান চাঁদপুর টাইমসকে জানান,এবার বৃক্ষ মেলায় কুষি বিভাগের ১টি,বন বিভাগের ১ টি ও বেসরকারি নার্সারী মালিকদ্বয়ের ১৮টি স্টল মেলায় স্থান পাবে।

চাঁদপুর সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.তাজুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে জানিয়েছেন,জেলা প্রশাসন ,বন ও কৃষি বিভাগের আয়োজনে এবারের বৃক্ষ মেলা উদযাপিত হবে । এরইমধ্যে মেলা আয়োজনে সব রকমের প্রস্তুতি সম্মন্ন হয়েছে।

প্রসঙ্গত,আমাদের দেশে এখনো যথেষ্ট পুষ্টির অভাব রয়েছে। নতুন প্রজন্ম তাদের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি দিয়ে এ পুষ্টি চাহিদা পূরণ করবে। আমরা আস্তে আস্তে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছি। আমাদের খাদ্যে ও ফলে স্বয়ংসম্পূর্ণতা বজায় রেখেই এগিয়ে যেতে হবে। প্রচলিত ফলের উন্নয়নের মাধ্যমে ফলের সরবরাহ সারা বছর নিশ্চিতকরণে কৃষির অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হবে।

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এমপি সম্প্রতি বার্কে এক অনুষ্ঠানে বলেন,‘আমরা আম উৎপাদনে সপ্তম ও পেয়ার উৎপাদনে বিশ্বে অষ্টম স্থানে আছি। অন্যান্য ফলের ক্ষেত্রে আমাদের বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে লিচুর দীর্ঘ জীবনকালের জাত উদ্ভাবনের বিষয়ে গবেষকদের প্রতি আহবান জানান। মন্ত্রী উল্লেখ করেন, আমরা দেশের ৪০% ফলের উৎপাদন ৮ মাসব্যাপি করতে সক্ষম হয়েছি।’

ফলের উৎপাদন আরও বাড়াতে প্রযুক্তির দিকে আমাদের বেশি নজর দিতে হবে। কৃষিমন্ত্রী পুষ্টি চাহিদা পূরণে সংশ্লিস্ট সবাইকে সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন,‘বঙ্গবন্ধু কাঁঠালকে জাতীয় ফল হিসেবে ঘোষণা করেছেন। কাঁঠাল এমন একটি ফল,যার কোনো অংশই ফেলানো যায় না। কাঁচা কাঁঠালকে ভেজিটেবল মিট হিসেবে ব্যবহার ও বিদেশে রপ্তানির বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ার জন্যে তিনি সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন।’

প্রতিবেদক:আবদুল গনি
:আপডেট,বাংলাদেশ সময় ৮:০৫ পিএম,১৪ জুলাই ২০১৭,শুক্রবার
এইউ

Leave a Reply