Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জে সরকারি গাছ কাটার হিড়িক
হাজীগঞ্জে সরকারি গাছ কাটার হিড়িক

হাজীগঞ্জে সরকারি গাছ কাটার হিড়িক

হাজীগঞ্জ উপজেলার ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে প্রায় শতাধিক গাছ কেটে সরকারি সম্পত্তি হরিলুট চলছে। এ ব্যাপারে তারা বলছে কাটার অনুমতি দিয়েছেন রাস্তার কাজে দায়িত্বরত ঠিকাদার, ঠিকাদার বলছেন উপজেলা এলজিইডি দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারের নির্দেশে তা কাটার জন্যে বলেছি। এমন সব পাল্টা-পাল্টি অভিযোগের দায়সারাতে গিয়ে জগন্নাথপুর হতে হরিপুর প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তার পাশে ছোট-বড় শতাদিক গাছ কেটে নিচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। যার বর্তমান মূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা হবে বলে জানা গেছে।

বুধবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হরিপুর থেকে জগন্নাথপুর পর্যন্ত রাস্তা পাকাকরনের কাজ চলছে। এ সময় রাস্তাটির দুই পাশে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট বড় শতাধিক গাছ কাটার এক হরিলুট চিত্র দেখা যায়। এসব গাছের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা বলে দাবি করেন স্থানীয় সচেতনমহল।

এর মাঝে ওই এলাকার ইজারাদার আয়ুব আলী ও পাশের জমির মালিক মিজান মিলে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম দুলালের সহযোগিতায় প্রায় ৩০টি গাছ বিক্রি করেন। এসব গাছ অল্প দামে হরিপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন ক্রয় করে কেটে নেয়।

গাছ বেপারী সাবেক ইউপি সদস্য দেলোয়ার জানান, রাস্তার কাজে দায়িত্বরত ঠিকাদার আলমগীর গাছের উপর লাল দাগের ক্রস চিহ্ন দিয়ে কাটার নির্দেশনা দেখিয়ে দেন। চাঁদপুরের আবু জ্যা গিফারী নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত সাব কন্টেক্টার আলমগীর হোসেন ওই কাজ দেখাশুনার দায়িত্ব রয়েছেন।

তিনি এ ধরনের নির্দেশনা কীভাবে দিলেন, জানতে চাইলে তিনি উপজেলা এলজিআইডি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের নাম বলে দায় সারেন।

উপজেলা এলজিইডি অফিসের অভিযুক্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি ওই এলাকার পুকুর পাড়ের ভাংগা অংশের গাছ কেটে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। বাকি গাছ কীভাবে কাটলো তা বন বিভাগের লোকজন জানতে পারে।

বন বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা তাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এর কিছুই থেকে জানেন না বলে জানান। তবে এলজিইডি বা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কোনো অধিকার নেই গাছে ক্রস কিংবা কাটার অনুমতি দেওয়ার।

স্থানীয় লোকজন প্রশ্ন করেন সরকারি গাছ এভাবে হরিলুট হচ্ছে প্রশাসন এসব খবর রাখে না কেনো? তারা বলেন, সবমিলে প্রায় শতাদিক গাছ স্থানীয়রা কেটে নিয়ে যায় যার বর্তমান মূল্য প্রায় ৫লাখ টাকা।

তাৎক্ষণিক বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুর্শিদুল ইসলাম ও প্রকৌশলী দিপংকর ঘোষকে অবহিত করলে তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন বলে জানান।

জহিরুল ইসলাম জয়

 

||আপডেট: ০৯:০৮ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০১৫, বুধবার

এমআরআর