উপজেলা সংবাদ

হাজীগঞ্জে রাস্তার বিপরীতে বাঁশের সাঁকোতেও চলাচলে বাধা

জহিরুল ইসলাম জয়। আপডেট: ০১:৫০ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বুধবার

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সুহিলপুর গ্রামে ৫টি বাড়ীর প্রায় ৫ শতাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম রাস্তার বিপরীতে প্রায় আধা কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলার ৫ নং সদর ইউনিয়নের সুহিলপুর গ্রামে দিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার মজুমদার বাড়ী, দোয়া বাড়ী, নোয়া বাড়ী,কাজী বাড়ী ও কাদির বেপারী বাড়ীর প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ সংস্কারের অভাবে তাদের একমাত্র রাস্তাটির উপর বর্ষাকালে বাঁেশর সাকোঁ দিয়ে পারাপার হতে হয়।

প্রায় আধা কিলোমিটার দীর্ঘ লম্বা এই বাশেঁর সাকোঁ দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে এখন স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তির বাধায় বর্তমানে ৫ বাড়ীর মানুষ একপ্রকার গৃহবন্দী হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। বিশেষ করে প্রতিনিয়ত স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ী, চাকুরিজীবি এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কচি-কাচা শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন।

স্থানীয়রা জানান, সাঁকোর নিচে এই রাস্তাটির জন্যে ১৯৯০ সালে সুহিলপুর মৌজায় জন্য ২৯ শতাংশ সম্পত্তি ৭ জন ব্যক্তি আপোষ বন্টননামা দলিল করে দেয়। দলিল নং ৪৭১৭। সম্পত্তি দানকারীদের মধ্যে আ. কাদের ও লোক্তা আলী ৬ শতাংশ, শোনামিয়া মিস্ত্রি ৬ শতাংশ, করিমউদ্দীন, আ. ছাত্তার, আ. হাই ও আবু বক্কর ৬ শতাংশ আনোয়ার হোসেন ও নুরুল ইসলাম ২ শতাংশ, আবিদ আলী,জমিলা খাতুন ও আলী মিয়া ৩ শতাংশ ভূমি দিয়েছেন।

এদের মধ্যে মৃত সেকান্দরের ছেলে আনোয়ার হোসেন ও মৃত সোনা মিয়ার ছেলে রহমান মিয়া এ দু’জন ব্যক্তি বর্তমানে রাস্তা চলাচলে বাধাঁ দিচ্ছেন বলে ভূক্তভোগীদে অভিযোগ।

আধা কিলো এ রাস্তাটির তেমন কোন মাটি ভরাটের কাজ না হওয়ায় বর্ষার সময় বাশেঁর সাকোঁ দিয়ে এ যাবত পর্যন্ত চলাচল করে আসছে এখানকার সাধারণ মানুষ। এর মধ্যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক সংস্কারের আশ্বাস দেয়া হলেও বাস্তবায়ন হয়নি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রহমান জানান “বর্তমান সাংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের পক্ষ থেকে মাটি ভরাটের জন্য কিছু বরাদ্দ পেলেও কাজ করতে গিয়ে এক পক্ষের বাধার মুখে পড়েছি”

ভুক্তভোগিদের মধ্যে নুরুজ্জামান,আঃ রহিম ও সাবিয়া খাতুন বলেন, “আমরা শুকনা মৌসুমে অন্যের বাড়ীর খেতের আইল (জমির সীমানা) দিয়ে চলাচল করতাম। বর্ষা এলেই বাশের সাকোঁ বানিয়ে তার উপর দিয়ে চলাচল করে আসতাম। বর্তমানে রহমান ও আনোয়ার আমাদের পথে বাধা দিয়ে আসছে।”

একই বাড়ীর স্কুল ছাত্রী শারমিন ও রুমা আক্তার জানায়, “নৌকা না থাকায় সাকোঁর উপর দিয়ে যেতে হয়, সেখানে কে বা কারা বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। আমরা পড়া-লেখা করতে স্কুলে যেতে চাই।”
অভিযুক্ত আনোয়ার মিয়ার সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, “আমি কোন পথে বাধা দেইনি, বরং আমার যেটুকু পাওনা রয়েছে তা আমি বুঝে পেতে চাই।”

চাঁদপুর টাইমস- ডিএইচ/২০১৫

Share