Home / শীর্ষ সংবাদ / হাজীগঞ্জে জমে উঠেছে তরমুজের বাজার, দাম বেড়ে দ্বিগুণ
তরমুজের

হাজীগঞ্জে জমে উঠেছে তরমুজের বাজার, দাম বেড়ে দ্বিগুণ

চাঁদপুর জেলার প্রাণকেন্দ্র হাজীগঞ্জে জমে উঠেছে তরমুজের আড়ৎধারী ব্যবসা। এ বছর গরমের শুরুতেই রোজা পড়ায় চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি এক এক তরমুজের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। তাইতো তরমুজের বেপারী, পাইকার, আড়ৎধার ও শ্রমীকদের কাজে চাঙ্গা মনোভাব লক্ষ করা যায়।

প্রহেলা রমজান রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজারের হাজী ফল ভান্ডার, ভাই ভাই ফলের আড়ৎ, রাজা ফল ভান্ডার,  জিন্নাত এন্টারপ্রাইজ, আল্লাহর দান ফলের আড়ৎ, মানিক ও মন্নান মিয়াসহ প্রায় ১০ টি ঘর গোদিতে বেপারী আর পাইকারের মিলন মেলা। নদীপথে আসা ট্রলার থেকে তরমুজ মাথায় করে আড়ৎধারের ঘরে গুনে শুনে টাল দিচ্ছেন শ্রমিকরা। পাইকার ও হকারগন  পিচ হিসাবে ছোট তরমুজের দাম ৪০/৫০ টাকা, বড় মালে ২৫০ টাকা থেকে ৪শ টাকা পর্যন্ত গড়ে ২৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা শ বিক্রি হচ্ছে।

দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসা পাইকাররা এসব দামে ট্রাক বোজাই করে তরমুজ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যায়। তাদের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে হাজীগঞ্জের পাইকাররা বেশী দামে তরমুজ ক্রয় করে তা উপজেলার বিভিন্ন হাট বিজারে পিচ হিসাবে ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫/৭ শত টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে আসছে।

তরমুজের

এখানকার কয়েকজন আড়ৎধার ও বেপারী এবং পাইকারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রসালু ফল তরমুজ দেশের দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চলের বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, খুলনা, বরগুনা, পাথরঘাটা এলাকা থেকে স্থানীয় চাষীদের কাছ থেকে ট্রলার যোগে বেপারীরা নিয়ে আসেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে।  এখান থেকে আবার দেশের দক্ষিণ ও পূর্ব অঞ্চল, কুমিল্লা, হবিগুঞ্জ,  সিলেট,  ভ্রামনবাড়ীয়া, ফেনী, চিটাগাং সহ প্রায় ৩০/৩৫ জেলার পাইকাররা ট্রাকে করে তরমুজ নিয়ে যায়।

ভাই ভাই ফলের আড়ৎ এর মালিক সেলিম মিয়া ও রাজা ফল ভান্ডারের আড়ৎধার গাজী আলম  চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর তরমুজের ব্যাপক আমদানী রয়েছে। তবে প্রচন্ড গরম ও সামনে রোজার মাস পাওয়ায় চাহিদা বেড়েছে যে কারনে তরমুজের দামও একটু বেশী।

শ্রমীক  সোহাগ, কবির, আলআমিন, রহমতউল্ল্যাহ বলেন, আমরা কমিশনে দৈনিক ৭/৮ শ টাকা রুজি করতে পারি। গত মার্চ মাস থেকে শুরু হয়ে আগামি জুন- জুলাই পর্যন্ত তরমুজের আমদানী রপ্তানি থাকবে।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আ.স.ম. মাহবুব-উল আলম লিপন বলেন, এখানকার আড়ৎধার ব্যবসায়ীদের অনুরোধে দূর দূরান্ত থেকে আসা মানুষের সুবিদার্থে টয়লেট, পানি, সুডিয়াম লাইটসহ বিভিন্ন সু-ব্যবস্থা করেছি।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়,৫ এপ্রিল ২০২২