হাজীগঞ্জ

হাজীগঞ্জে গ্রামীণ রাস্তা ভাঙ্গছে ‘রাক্ষসী’ মাছ!

হাজীগঞ্জে বিলের ডেউ আর ‘রাক্ষসী’ মাছের প্রজেক্টের কারণে ভেঙ্গে যাচ্ছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট। গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয়রা এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়ে আসলেও প্রজেক্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে না নিয়ে তাদের মাছের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার ৮ নং হাটিলা টংঙ্গীরপাড় এলাকায় প্রায় ১২ একর ভুমিতে গত কয়েক বছর ধরে মাছ চাষ করছেন হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী জামাল বাদ্রাসের সত্ত্বাধিকারী মো. জামাল হোসেন।

স্থানীয়ভাবে জানা যায়, এ বিশাল বিলে রয়েছে রুই, কাতল, কারফু, পাঙ্গাইশ, শোইলসহ রাক্ষসী মাছের চাষ। এসব মাছের জন্য যে পরিমান খাবার দেওয়া প্রয়োজন সে পরিমান খাবার না পেয়ে কারফুসহ রাক্ষসী মাছগুলো প্রতিদিন চার পাড়ের মাটি খুড়ে খাচ্ছে।

আর এতে করে হাটিলা টংঙ্গীরপাড় এলাকার চলাচলের পূর্ব ও উত্তর পাড়ের রাস্তা ভেঙ্গে পড়ে যাচ্ছে। তাছাড়া বর্ষা মৌসুমে দক্ষিনা বাতাসের ডেউ উত্তর পাড়ের সাথে লেগে বড় বড় চাক ভেঙ্গে পড়ে যাচ্ছে। আর এতে করে সরকারি রাস্তার অস্তিত্য হারাতে বসেছে।

হাটিলা টংঙ্গীরপাড় এলাকার মাসুদ হোসেন, কবির হোসেন ও শামছুলহক বলেন, প্রায় ১২ কানি সম্পত্তির উপর জামাল মিয়া গত ৭/৮ বছর ধরে এখানে মাছ চাষ করে আসছে। প্রজেক্টে নানান ধরনের মাছের সাথে কিছু রাক্ষুসী মাছ রয়েছে যে কারনে এসব মাছ মাটি খেয়ে আসছে।

তাছাড়া উত্তর পাশের রাস্তার পাশে যদি কচুরি দিয়ে রাখতো তাহলে দক্ষিন পাশের বড় বড় ডেউ রাস্তার ক্ষতি করতে পারতো না।

প্রজেক্টের ম্যানেজার মনির পাটওয়ারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না আমাদের মালিক জামাল মিয়া যে দিক নির্দেশনা আমাদের দেন আমরা সে অনুযায়ী কাজ করে থাকি।

প্রজেক্ট মালিক ও জামাল বাদ্রাসের সত্ত্বাধিকারী মো. জামাল মিয়া বলেন, আমরা প্রতিবছর ভেঙ্গে পড়া স্থানে মাটি কেটে পুরন করে দেই। তাছাড়া গত কয়েক বছর ধরে সড়কে সরকারি ভাবে মাটি না পেলার কারনে এমন ভাঙ্গন দেখা যাচ্ছে।

প্রজেক্টের আশ-পাশের বাসিন্ধাসহ যাত্রীসাধারনের অভিমত, স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ উপজেলা প্রশাসন যদি সরেজমিনে এসে রাস্তার এ ভাঙ্গন সৃষ্টি রোধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করে তাহলে হয়তো রাস্তাটি টেকানো সম্ভব হবে।

প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয়

Share