Home / জাতীয় / স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অভিন্ন আইন করছে ইসি
ইসি
ইসি

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অভিন্ন আইন করছে ইসি

সিটি কর্পোরেশন পৌরসভা, উপজেলা, জেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরিচালনার জন্য অভিন্ন আইন প্রণয়ন করছে নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে কিছু ইংরেজি পদ-পদবি বাংলায় রূপান্তর করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এ আইনের খসড়া রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কাছে পাঠিয়েছে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি। আগামী ১ নভেম্বর পর্যন্ত এ আইনের বিষয়ে মতামত, পরামর্শ ও সুপারিশ করার সুযোগ রয়েছে।এ ছাড়া আইনের খসড়া ইসির ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।

এদিকে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা ইসির হাতে থাকছে। এই আইনে বলা হচ্ছে- ‘যদি কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হয় যে কোনো প্রার্থী বা তার নির্বাচনী প্রতিনিধি বা তার নির্দেশে বা সম্মতিতে অন্য কোনো ব্যক্তি গুরুতর বেআইনি কাজ করছে, বিধান লঙ্ঘন করছে, লঙ্ঘনের চেষ্টা করছে, যার জন্য তিনি নির্বাচিত হওয়ার বা থাকার অযোগ্য হতে পারেন, তা হলে নির্বাচন কমিশন তদন্ত সাপেক্ষে তার প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবেন।’

ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ আইন পাস হলে স্থানীয় সরকারের সব প্রতিষ্ঠানের আইনের সংশোধনী আনার প্রয়োজন হবে। ওই সংশোধনগুলো করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া খসড়ায় বলা হয়েছে- স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন-২০০৯, উপজেলা পরিষদ আইন-১৯৯৮, জেলা পরিষদ আইন-২০০০, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ ও স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন-২০০৯ এ নির্বাচন পরিচালনার জন্য বিভিন্ন অধ্যায় ও ধারা সংযুক্ত রয়েছে। ওইসব আইন থেকে নির্বাচন সংক্রান্ত বিধান আলাদা করতে স্বতন্ত্র আইন করা হচ্ছে।

খসড়া আইনে ইংরেজি পদ-পদবি ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের পদবি পরিবর্তন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে রিটার্নিং অফিসার পদবির নাম করা হচ্ছে ‘নির্বাচন অধিকর্তা’, নির্বাচনী এজেন্ট করা হচ্ছে ‘নির্বাচনী প্রতিনিধি’, পোলিং অফিসার হচ্ছে ‘ভোটকক্ষ কর্মকর্তা’, পোলিং এজেন্ট হচ্ছে ‘ভোটকক্ষ প্রতিনিধি’, প্রিসাইডিং অফিসার হচ্ছে ‘ভোট কেন্দ্র অধিকর্তা’। অন্যদিকে স্থানীয় সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠানে দৈব-দুর্বিপাকজনিত কারণে নির্বাচন করা সম্ভব না হলে, নির্বাচন কমিশন সুবিধা মতো সময়ে নির্বাচন করতে পারবে, এমন একটি বিষয় নতুন যুক্ত করা হচ্ছে।

ইসির একজন কর্মকর্তা বলেন, সিটি করপোরেশন, পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের অভিন্ন যোগ্যতা রাখা হয়েছে। তবে গতানুগতিক ধারা থেকে বের হতে পারেনি ইসি। নির্বাচনী অপরাধের কিছু কিছু ক্ষেত্রে শাস্তির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।

তিনি জানান, বিদ্যমান উপজেলা আইনে বেআইনি কাজের জন্য সর্বনিম্ন ৬ মাস ও সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদন্ড এবং পৌরসভা আইনে সর্বনিম্ন ৬ মাস ও সর্বোচ্চ ৭ বছর সাজার বিধান রয়েছে। কিন্তু খসড়া আইনে এ অপরাধে সর্বনিম্ন ৬ মাস ও সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

নির্বাচনে ঘুষ গ্রহণের অপরাধে সর্বোচ্চ ২ বছর কারাদন্ডের বিধান খসড়া আইনে বহাল রাখা হয়েছে। জাল ভোট দেওয়ার শাস্তিও আগের মতো ২ বছরই থাকছে। ভোট গ্রহণ শুরুর আগে বা পরে সভা বা মিছিল করার অপরাধে খসড়া আইনের ৬ মাস থেকে ৭ বছরের কারাদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। একইভাবে অন্য সব ধারায় বিদ্যমান আইনগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাজার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বার্তাকক্ষ,২৬ অক্টোবর,২০২০;