Home / চাঁদপুর / সাহসিকতা-বীরত্বে পদক পেলেন চাঁদপুরের এসপি জিহাদুল কবির
SP Jehadul Kobir
চাঁদপুর পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির।

সাহসিকতা-বীরত্বে পদক পেলেন চাঁদপুরের এসপি জিহাদুল কবির

সাহসিকতা ও সেবামূলক কাজের জন্যে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) পেয়েছেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) জিহাদুল কবির পিপিএম।

২০১৮ সালে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পুলিশ বাহিনীর ৩৪৯ জন সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক- বিপিএম, বিপিএম সেবা, রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক- পিপিএম ও পিপিএম সেবা পদক দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার(২৯ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে পদকপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৪০ জন পুলিশ সদস্যকে বিপিএম, ৬২ জনকে পিপিএম এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ১০৪ জন পুলিশকে বিপিএম সেবা এবং ১৪৩ জনকে পিপিএম সেবা পদক প্রদান করা হলো।’

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির এর পূর্বে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) সেবা পেয়েছেন।

পদক পাওয়ার বিষয়ে অনুভুতি জানতে চাইলে পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির জানান,পেশাগত কাজের স্বীকৃতি পেলাম। অবশ্যই ভালো লাগছে। এ অর্জনের কারণে আমার দায়িত্বটা আরো বেড়ে গেলো।

তিনি জানান, ‘আমি চাঁদপুর ছাড়াও পূর্বের কর্মস্থল পাবনায় উল্লেখযোগ্য কাজের বিবরণ দিয়েছি পদক প্রস্তাবনার জন্য কাগজপত্রে। এছাড়াও চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে দুলাভাই ও শ্যালিকা মিলে আপন বোনকে হত্যা, কয়েক যুগ পরে হারিয়ে যাওয়া কন্যাকে পিতার নিকট ফিরয়ে আনার ব্যবস্থা, ফরিদগঞ্জে ৭ জঙ্গি আটকসহ আরো কিছু কাজ উল্লেখ্যযোগ্য। বিশেষ করে ২০১৮ সালের সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চাঁদপুর শান্তি ও শৃঙ্খলার মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া।’

পুলিশ সুপার আরো বলেন, আমার পেশাগত কাজের অনেক কাজেই উল্লেখ্য করা হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কিভাবে আমাকে নির্বাচন করেছেন অথবা কোন কাজটি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো সেটি এ মুহুর্তে বলতে পারছি না। তবে আমার ধারণা সুষ্ঠুভাবে চাঁদপুরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এ বিষয়টি হতে পারে।আগামী ৪ ফেব্রুয়ারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ পদক প্রদান করবেন।’

প্রসঙ্গত, জিহাদুল কবির ১৯৯৭ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে ২০তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ বিভাগে যোগদান করেন। পুলিশ বিভাগে চাকুরিকালীন তিনি ২০১২ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত মাগুরা, ২০১৫ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত রাজবাড়ি ও ২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত পাবনা জেলার পুলিশ সুপার পদে সতত্য ও নিষ্ঠার সাথে একজন কর্মদক্ষ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর সর্বশেষ গত ১২ আগস্ট চাঁদপুরের ২০তম পুলিশ সুপার হিসেবে মো. জিহাদুল কবির পিপিএম যোগদান করে বিদায়ী পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম-এর নিকট থেকে তিনি দায়িত্ব বুঝে নেন। পুলিশ সুপার হিসেবে চাঁদপুর তাঁর ৪র্থ জেলা।

আশিক বিন রহিম
২৯ জানুয়ারি,২০১৯

Leave a Reply