চাঁদপুর

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নাম ফলকে ডাস্টবিন

উপমহাদেশের বরেণ্য রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম মহান সংগঠক মিজানুর রহমান চৌধুরী। চাঁদপুরের এই কৃতিসন্তান ১৯৬২ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৬২ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন।

যখন শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ কারাগারে ছিলেন তখন তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় ছিলেন সম্মিলিত বিরোধী দলের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। একাধিকবার নির্বাচিত এই সাংসদ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশর সাবেক প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন।

বরেণ্য এই মানুষটিকে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চাঁদপুর শহরেরর প্রাণকেন্দ্র শপথ চত্তর এলাকায় একটি সড়কের নামকরণ করে চাঁদপুর পৌরসভার কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে সড়কটি মিজানুর রহমান চৌধুরী সড়ক নামে সবার কাছে পরিচিতিও পায়।

খ্যাতিমান এই মানুষটিকে স্মরণীয় করে রাখতে শপথচত্তর মোড়ের ওই সড়কে স্থাপন করা নামফলকটি যেন অশ্রদ্ধার এক স্মারকে পরিণত হয়েছে। নাম ফলকটির দুই তৃতীয়াংশ ঢেকে দিয়ে কাণ্ডজ্ঞানহীনভাবে এর মুখের উপর বসানো হয়েছে ময়লা-আবর্জনা ফেলার একটি বীন।

চরম অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার এই কাজটি করেছে চাঁদপুর সড়ক বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর। যেখানে রেলওয়ে হকার্স মার্কেটের দোকানী এবং পথচারীরা ময়লা-আবর্জনা ফেলছে। যা দেখে সচেতন মানুষে ক্ষোভের সাথে বলেন, একজন বরেণ্য ব্যক্তিকে শ্রদ্ধা না জানান, কিন্তু অশ্রদ্ধা করার অধিকার তো কারো নেই!

চাঁদপুরের সচেতন মহলের দাবি অবিলম্বে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরী সড়কের নামফলকটি দৃষ্টিনন্দন করে পুনঃস্থাপন করা হোক। পাশাপাশি এই কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্মকান্ডের সাথে জড়িতদের বৎসনা করা হোক।

প্রতিবেদক:আশিক বিন রহিম,১০ নভেম্বর ২০২০

Share