Home / উপজেলা সংবাদ / সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজকে আওয়ামী লীগ সরকার আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না
সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজকে আওয়ামী লীগ সরকার আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না
কচুয়া : ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষকের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ঘটনা পরিদর্শন শেষে বক্তব্য রাখছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি। ছবি : জিসান আহমেদ নান্নু।

সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজকে আওয়ামী লীগ সরকার আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না

কচুয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও মতবিনিময়

জিসান আহমেদ নান্নু, কচুয়া  | আপডেট: ০৭:৫৬ অপরাহ্ণ, ১৯ আগস্ট ২০১৫, বুধবার

কচুয়া উপজেলার ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপর বর্বর সন্ত্রাসী হামলায় আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি।

তিনি বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ওই বিদ্যালয়ে পৌছেন এবং দীর্ঘ সময় আহত শিক্ষক, শিক্ষার্থীও এলাকাবাসীর সাথে ঘটে যাওয়া হামলার বিষয়ে খোঁজখবর নেন।

পরে বিদ্যালয়ের হল রুমে শিক্ষক, শিক্ষার্থীও এলাকাবাসীর উদ্দেশ্য বলেন, “সন্ত্রাস রাজনীতিকে কলুষিত করে, সমাজকে ধ্বংস করে। রাজনৈতিক পরিচয়ে কোনো সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজকে আওয়ামী লীগ সরকার আশ্রয়- প্রশ্রয় দেয় না। শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সৃষ্টি করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর হামলা জঘন্য ঘৃণ্য কাজ, যারা এ ধরনের কর্মকান্ড করেছে আমরা এর তীব্র নিন্দাও ধিক্কার জানাই। হামলাকারী দোষীদের মধ্যে ক’জনকে ইতিমধ্যে পুলিশ গ্রেফতার করেছে এবং সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে। যাতে ভবিষ্যতে শিক্ষাঙ্গনে কোনো সন্ত্রাসী এ ধরনের ঘৃণ্যতম কাজ করার সাহস না পায় সেদিকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।”

কচুয়া: ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষকের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিচ্ছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি। ছবি : জিসান আহমেদ নান্নু।

কচুয়া: ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষকের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিচ্ছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি। ছবি : জিসান আহমেদ নান্নু।

তিনি আরো বলেন, “কোনো জাতীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দল বা গোষ্ঠী চাঁদা দাবি করতে পারে না। আমি শুনেছি হামলাকারীদের বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়েছে এ কাজটি করাও ঠিক হয়নি। মনে রাখতে হবে এ ঘটনায় কোনো নিরাপরাধ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় এবং ১৪ তারিখ যেখানে চাঁদা দাবি করা হয় পরদিন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক লাঞ্ছিত ও বাড়িঘর ভাংচুর বিষয়টি প্রশাসনকে তাৎক্ষণিক জানালে এ ধরনের অনাকাংখিত ঘটনা হতো না। সমাজে যারা সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি করে তারা কোনো দলের হতে পারে না, সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের যারা প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা কিংবা সমর্থন তাদেরকে ও প্রয়োজনে আইনের আওতায় আনা হবে।”

তিনি বুধবার দুপুরে চাঁদপুরের কচুয়ার ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সকলের উদ্দ্যেশে এসব কথা বলেন।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক মো. শাহাজাহান শিশির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ আশরাফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা সহিদ, মুক্তিযোদ্ধ সংসদের কমান্ডার ও বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল মবিন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র সরকার।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিব মজুমদার জয়ের পরিচালনায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সহিদ দর্জি, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান হাতেম, ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম লালু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন প্রমুখ।

 

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫