কচুয়া পশ্চিম সহদেবপুরে পুন:নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

৫ জানুয়ারির ইউপি নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে কচুয়া উপজেলার ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদে পুন:নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুস সামাদ আজাদ।

১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আনারস প্রতীক নিয়ে পরাজিত প্রার্থী আজাদ এ অভিযোগ করেন।

নির্বাচনের ফলাফলে দেখানো হয়, ওই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলমগীর হোসেন পেয়েছেন ৫ হাজার ৯১৫ ভোট আর আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৭১ ভোট। অথচ এক কেন্দ্রের ফলেই রেজাল্ট সীট কেটে ৫০ ভোট কমানো হয়। প্রকৃতপক্ষে আনারস পেয়েছে ৫ হাজার ৯২১ ভোট আর নৌকা প্রতীক পেয়েছিল ৫ হাজার ৮৬৫ ভোট।

লিখিত বক্তব্যে আবদুস সামাদ আজাদ বলেন, গত ৫ জানুয়ারি ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নির্বাচনে আমি আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। অত্র ইউপিতে মোট ১০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়।

যার মধ্যে ৬ টি কেন্দ্রেই ব্যাপক অনিয়ম, জাল ভোট প্রদান, আনারস মার্কার এজেন্টদেরকে মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ভোট গ্রহণ, রাত ৯ টা পর্যন্ত ৩টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা না করে কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ কয়েকজন নেতা সংঘবদ্ধভাবে রিটার্নিং অফিসারের চারিদিকে জড়ো হয়ে ও রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে রিটার্নিং অফিসার এ এইচ এম শাহরিয়ার রসুলকে দিয়ে রাত ১টায় ফলাফল ঘোষণা করাতে বাধ্য করেন।

খিলমেহের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রিসাইডিং অফিসার সেলিম পাটোয়ারী ভোট গণনা করে নৌকার প্রতীক ৩৮০, আনারস প্রতীক ৪৮০ ভোট, হাত পাখা প্রতীক ২৫ ভোট, মটরসাইকেল প্রতীক ১১ ভোট, ঘোড়া প্রতীক ৪১ ভোট দেখিয়ে কেন্দ্রের রেজাল্ট শীট তৈরি করেন এবং এজেন্টদের কাছ থেকে অগ্রীম স্বাক্ষর নিয়ে জোরপূর্বক বাহির করে দেন।

বাহির করে দিয়ে পরবর্তীতে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে প্রিসাইডিং অফিসার আনারসের প্রাপ্ত মোট ভোট ৪৮০ এর পরিবর্তে ৪৩০ বসান যাতে ৫০ ভোট কমানো হয়। কিন্তু রেজাল্ট শীট কাটাকাটি করে সংশোধনকৃত জায়গায় প্রিসাইডিং অফিসার স্বাক্ষর করেননি।এতো গেলো এক কেন্দ্রের ফল । এছাড়াও প্রায় সবগুলো কেন্দ্রেই প্রায় একই রকম জালিয়াতি করা হয়।

বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ুব আলী পাটোয়ারীকে ফোন দিলে তাঁর মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

কচুয়া প্রতিনিধি

Share