Home / খেলাধুলা / শেষ ওভারে মাশরাফির ব্যাটে রংপুরের জয়
bpl

শেষ ওভারে মাশরাফির ব্যাটে রংপুরের জয়

থিসারা পেরেরা নেই, তাতে কি মাশরাফি বিন মুর্তজা তো রয়েছেন। আগের ম্যাচে মাশরাফি-পেরেরার কাঁধে চেড় ম্যাচ জিতেছিল রংপুর। এই ম্যাচে একাই দায়িত্ব তুলে নেন ম্যাশ। শেষ দুই ওভারে অসাধারণ ব্যাটিং করে রা্ইডার্সদের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখলেন টাইগার সেনানী। সিলেট সিক্সার্সকে ৪ উইকেটে হারাল মাশরাফির দল। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের অবস্থান আরো পাকাপোক্ত করল রংপুর।

১৭৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই ক্রিস গেইলকে হারিয়ে বসে রংপুর। আজ মা্ত্র ৫ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। এরপর অবশ্য বেশ ভালোভাবেই খেলায় ফেরে দেশের সর্ব উত্তরের দলটি। গেইলের অভাব অনেকটাই পূরণ করে দের জিয়াউর রহমান। ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ৫৯ রান।

দলীয় ৬৬ রানে নুরুল হাসান সোহানের দুর্দান্ত স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফিরে যান জিয়াউর রহমান। মাত্র ১৮ বলে ৩৬ রান করেন এই অলরাউন্ডার। জিয়া ফিরে যাওয়ার পর দেখেশুনে খেলছিলেন ম্যাককালাম ও মিঠুন। এই সময় রান রেটটা বেড়ে যায় রংপুরের। ১৭ বলে ১৮ রান করে আউট হন মিঠুন। রংপুরের রান তখন ৯৫।

ব্রেন্ডন ম্যাককালাম আজ রানের জন্য রীতিমতো লড়াই করেছেন। ৩৮ বলে ৪৩ রান করে ফিরে যান এই কিউই ব্যাটসম্যান। এরপর আফগান অললাউন্ডার সামিউল্লাহ শেনওয়ারি রান আউট হয়ে ফিরে গেলে বেশ বিপদেই পড়ে যায় রংপুর।

দলকে জেতানোর পুরো দায়িত্ব এসে পড়ে রবি বোপারার কাঁধে। দুটি সহজ জীবন পেলেও সেটাকে কাজে লাগাতে পারেননি এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। মাশরাফির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন বোপারা। ১৮ বলে ২২ রান করেন তিনি।

এরপর জয়ের দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নেন অধিনায়ক মাশরাফি। শেষ দুই ওভারে রংপুরের জয় জন্য দরকার ছিল ২০ রান। সোহেল তানভীরের করা প্রথম বলে দুর্দান্ত এক ছয় মেরে সমীকরণটা সহজ করেন দেন ম্যাশ। শেষ ওভারে রংপুরের প্রয়োজন ছিল ৯ রান। টিম বেসনানের করা তৃতীয় বলে ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করেন মাশরাফি। এরপর তুলির আচড়টা টেনেছেন নাহিদুল। দুই বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় রংপুর। ১০ বলে দুই ছয়ে ১৭ রান করেন মাশরাফি। ৭ বলে ১৪ রান করেন নাহিদুল।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ২০ ওভারে ১৭৩ রান সংগ্রহ করে সিলেট সিক্সার্স। শুরুটা ভালো হয়নি দলটির। ৩০ রানের মধ্যে নাসির হোসেন ও নুরুল হাসানকে হারায় সিলেট। ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেছিলেন। দলীয় ৫৩ রানে তাঁকেও ফেরান নাজমুল ইসলাম অপু। আগের দুটি উইকেটও নিয়েছিলেন এই বোলার।

তিন উইকেট হারানো সিলেট বাবর আজম ও সাব্বির রহমানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায়। এই দুজন যোগ করেন ৭৪ রান। দলীয় ১২৭ রানে রান আউট হয়ে ফিরে আসেন বাবর আজম। ৩৭ বলে ৫৪ রান করেন এই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। দলীয় ১৫০ রানে মাশরাফির বলে বোল্ড হন সাব্বির। ৩৭ বলে ৪৪ রান করেন এই টাইগার ক্রিকেটার।

শেষ পর্যন্ত রস হুইটলি ও টিম ব্রেসনানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৭৩ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় সিলেট। ১১ বলে ১৭ রান করেন হুইটলি অন্যপ্রান্তে মাত্র পাঁচ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন ব্রেসনান।

নিউজ ডেস্ক:
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৫:২০ পিএম,২৮ নভেম্বর ২০১৭, মঙ্গলবার
এএস

Leave a Reply