Home / জাতীয় / শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ জনের ফাঁসি
Hasina-In-Parlament
ফাইল ছবি

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ জনের ফাঁসি

২০০০ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১০ আসামীর বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশে দিয়েছেন আদালত । এ ছাড়া একই ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ধারায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোবকবার (২০ আগস্ট) ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম এ রায় দেন।

এরইমধ্যে এ মামলায় অভিযোগভুক্ত আসামীদের মধ্যে অন্যতম হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের আরেক মামলায় ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। ফলে এ মামলা থেকে তার নাম বাদ রাখা হয়েছে।

গেলো ১৭ বছর আগে ২০০০ সালের ২০ শে জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের একটি মঞ্চ নির্মাণের সময় মাটিতে পুঁতে রাখা ৭৬ কোটি ওজনের বোমা পাওয়া যায়। ওই মঞ্চটি করা হচ্ছিল কোটালিপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশে। এ ঘটনার পরদিন কোটালিপাড়ার হেলিপ্যাড থেকে উদ্ধার করা হয় ৮০ কেজি ওজনের আরো একটি বোমা।

বোমাগুলো উদ্ধারের সময় গোপালগঞ্জে হেমাঙ্গন আবাসিক এলাকার ভাড়া করা একতলা বাসা থেকে বোমা বানানোর সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। ওই বাড়িটি মুফতি হান্নানের মালিকানাধীন।

অভিযোগে বলা হয়, ওই বিস্ফোরক সরবরাহ করা হয়েছিল হান্নানের সোনার বাংলা সাবান কারখানা থেকে। ঘটনার দিন নিজের নির্বাচনী এলাকায় দাদার নামে প্রতিষ্ঠিত কলেজ মাঠের জনসভায় শেখ হাসিনার ভাষণ দেয়ার কথা ছিল।

তথ্য তালাশের পর ওই সময় কোটালিপাড়া থানার উপপরিদর্শক নূর হোসেন বাদী হয়ে হত্যা চেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন। এ নিয়ে শুরু হয় তদন্ত। সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সি আতিকুর রহমান তদন্ত শেষ করেন।

তিনি ১৬ জনকে আসামী করে অভিযোগপত্র দেন ২০০১ সালের ৮ই এপ্রিল। এরপর এ অভিযোগপত্রের একটি সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়া হয়। তাতে ৯ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয় ২০০৯ সালের ২৯ শে জুন। পরে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে মামলা দুটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টাসহ হরকাতুল জিহাদের ১৩টি নাশকতামূলক ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার পেছনে মূল ব্যক্তি হিসেবে মুফতি হান্নানকে দায়ী করা হয়। তার বাড়ি প্রধানমন্ত্রীর নিজের জেলা গোপালগঞ্জে।

২০০৫ সালের ১ অক্টোবর ঢাকার বাড্ডা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। তারপর থেকে এই জঙ্গি নেতা কারাগারেই ছিলেন। ২০০৪ সালে বৃটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীকে হত্যা চেষ্টায় গ্রেনেড হামলায় গত ১২ই এপ্রিল তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ১ : ৪৯ পিএম, ২০ আগস্ট ২০১৭, রোববার
ডিএইচ

Leave a Reply