শাহরাস্তি

শাহরাস্তিতে ৩ সন্তানের জননীর সাথে পরকীয়া : স্কুল শিক্ষক আটক

চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তিতে ৩ সন্তানের জননীসহ বেরনাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করেছে এলাকাবাসী। জাহাঙ্গীর আলমের সাথে মনোহরগঞ্জ উপজেলার চনুয়া গ্রামের প্রবাসী সিরাজুল হক মনু মিয়ার স্ত্রী আমেনা বেগমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ নিয়ে বেশ কিছু দিন যাবত এলাকাবাসীর মধ্যে আলোচনার ঝড় বইতে থাকে।

জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী বাড়িতে না থাকার সুযোগে আমেনা বেগম জাহাঙ্গীরের বাড়িতে আসে। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী আমেনা বেগমের আসার সংবাদ পেয়ে তাদের আটক করে রাখে।

এরপর জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে এসে এ দৃশ্য দেখতে পায়।

ঘটনার সংবাদ পেয়ে উঘারিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক হোসেন ও শাহরাস্তি মডেল থানার এসআই নিজাম উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

আমেনা বেগম জানান, রমজানের ঈদের পর তাদের চাঁদপুর কোর্টে বিবাহ হয়েছে। এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর আলম বিবাহের কথা স্বীকার করলেও পরবর্তীতে তিনি জানান, জনগণের তোপের মুখ থেকে বাঁচতে তিনি বিবাহের কথা বলেছেন।

এরপর শাহরাস্তি থানা পুলিশ উভয়কে আটক করে নিয়ে আসে। পুলিশ তাদের শাহরাস্তি থানায় না এনে খিলা বাজার থেকে তাদেরকে মনোহরগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম শাহরাস্তি উপজেলার আহম্মদ নগর গ্রামের আবদুল ওহাবের পুত্র। তিনি বর্তমানে বেরনাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি শাহরাস্তি উপজেলার সীমান্তবর্তী শিবপুর গ্রামে কাশেম ভিলায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। জাহাঙ্গীর আলম ৪ কন্যা সন্তানের জনক। এর মধ্যে ২ কন্যা সন্তানকে বিয়ে দিয়েছেন। আমেনা বেগমের স্বামী দুবাই প্রবাসী। তিনি ৩ কন্যা সন্তানের জননী। এর মধ্যে এক কন্যাকে বিয়ে দিয়েছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ইতিপূর্বে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বেশ কিছু নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনা রয়েছে। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকদের কুপ্রস্তাব দেয়ার জন্য বেশ কয়েকবার দুচরিত্রের এ শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে সর্তক করা হয়। কয়েক বছর পূর্বে নারী কেলেঙ্কারী ঘটনায় স্টিলের আলমারীর চাপায় তার হাতের সবগুলো আঙ্গুল কেঁটে যায়। সেখান থেকে তিনি আলমারী জাহাঙ্গীর নামে এলাকায় বেশ পরিচিত।

Share