Home / বিনোদন / ‘শাকিবের ডিভোর্সের আবেদন বাতিল হতে পারে’
'শাকিবের ডিভোর্সের আবেদন বাতিল হতে পারে'
ফাইল ছবি

‘শাকিবের ডিভোর্সের আবেদন বাতিল হতে পারে’

‘সিটি কর্পোরেশনের শুনানিতে গিয়ে জানতে পেরেছি শাকিব খান যে ডিভোর্সের আবেদন করেছে সেটি বাতিলও হতে পারে। কারণ, ডিভোর্সের জন্য যেসব কাগজপত্রাদি জমা দেয়া দরকার সেগুলোর অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজ শাকিব জমা দিতে পারেননি।’

সোমবার সন্ধ্যায় কথাগুলো বলছিলেন অপু বিশ্বাস। তিনি বলেন, রাগের মাথায় শাকিব আমাকে ডিভোর্সের চিঠি দিয়েছে। দেশে প্রচলিত ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইনে ডিভোর্সের বেশ কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। সেইসব নিয়মে এই আবেদন শুদ্ধ নয়।

চিত্রনায়িকা অপু বলেন, শাকিবের আইনজীবীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কেন জমা দেয়া হয়নি সেটি ফোনের মাধ্যমে জিজ্ঞেস করেছে সিটি কর্পোরেশন। তিনি কোনো সদুত্তর দেননি। যে আবেদনটি সঠিকই নয় তার ফলাফল নিয়ে আমি ভাবছি না। আমি সংসার করতে বরাবরই আগ্রহ প্রকাশ করেছি আজও করে এলাম।

ঢালিউডের এই শীর্ষ নায়িকা বলেন, আমার ছেলে আব্রামের জীবনটা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাবে আমি-শাকিব আমরা আলাদা হলে। মা হিসেবে আমি এটা কখনোই চাই না। আমি শাকিবকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম, আজও সেই ভালোবাসা একচুল কমেনি। আরও দুটি শুনানি বাকি রয়েছে আমাদের।

আমার বিশ্বাস শাকিব তার ভুল বুঝতে পারবে এবং স্ত্রী-পুত্রের কাছে ফিরে আসবে। এতে আমাদের দুজনের ইমেজও বাঁচবে, আমাদের ছেলেও আর দশটা ছেলের মতো স্বাভাবিক জীবন পাবে। বিচ্ছেদ কোনো সমাধান নয়, হতে পারে না।

২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করেছিলেন শাকিব-অপু। এর আট বছর পর গেল বছরের এপ্রিলে অপু বিশ্বাস সন্তানসহ প্রকাশে এসে ফাঁস করে দেন। তার কয়েকমাস পরে গেল নভেম্বর মাসে অপুকে ডিভোর্স নোটিশ পাঠান শাকিব খান। এরপর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন শাকিব-অপু সোমবার তলব করে।

এদিকে আজ অপু বিশ্বাস উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না শাকিব খান। জানা যায়, একটি ছবির শুটিংয়ে থাইল্যান্ড রয়েছেন। সেজন্য আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি আবারো শাকিব-অপুকে ডেকেছে উত্তর সিটি কর্পোরেশন।

উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল ৩ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, আমরা অপু বিশ্বাসের কথা শুনেছি আর আজ যেহেতু শাকিব খান বা তার কোন প্রতিনিধি আসেন নি তাই আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ তারিখ (সোমবার) দ্বিতীয় বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সে তারিখেও যদি শাকিব খান যোগাযোগ না করেন তাহলে তৃতীয় ও শেষ বৈঠকের তারিখ জানানো হবে।

সিটি কর্পোরেশনের পারিবারিক আদালত সূত্রে আরও জানা গেছে, কোনো পক্ষ তালাকের আবেদন করলে আদালতের কাজ হচ্ছে ৯০ দিনের মধ্যে উভয়কে তিনবার ডেকে সমঝোতার চেষ্টা করা। সমঝোতা না হলে স্বাভাবিকভাবেই তালাক কার্যকর হয়ে যাবে।
(এমটিনিউজ২৪.)

নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৪: ১০ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮, মঙ্গলবার
এএস