হাজীগঞ্জে ১৪ দিনের লকডাউনে জরিমানা ৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা

সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের ১৪ দিনে (১-১৪ জুলাই) হাজীগঞ্জে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পৃথক পৃথক অভিযানে ২৭৭ মামলায় মোট ৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার।

জেলা প্রশাসনের পক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার ও এক্সিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. উজ্জল হোসেন। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণরোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ও জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করার জন্য ১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, জনস্বার্থে এবং লকডাউন বাস্তবায়নে হাজীগঞ্জ বাজার, বাকিলা বাজার, বলাখাল বাজার, রামপুর বাজার, রাজারগাঁও বাজার, বেলচোঁ ও কৈয়ারপুল বাজারসহ অন্যান্য হাট-বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গত ১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন এবং নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উজ্জল হোসেন।

এই ১৪ দিনে লকডাউনের বিধি নিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি না মানাসহ মাস্ক পরিধান না করায় তিনি ২২৭ মামলায় ২২৭ জনকে পৃথক-পৃথকভাবে নগদ মোট ২ লাখ ১৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেন। এর মধ্যে অনেককে জরিমানার টাকা অনাদায়ে জেল প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালীন সময়ে জরিমানার টাকা পরিশোধ করায় কাউকেই জেলে যেতে হয়নি। তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেন তিনি।

এদিকে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এবং সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়নে দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি গত ১৪ দিনে নিয়মিত মাঠে ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার। তিনিও জনস্বার্থে এবং লকডাউন বাস্তবায়নে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও পাড়া-মহল্লায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। তিনি ১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ৫০ মামলায় ৫০ জনকে পৃথক-পৃথকভাবে মোট ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।

এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালীন সময়ে মাস্কহীন লোকদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোমেনা আক্তার। এ সময় তিনি ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও পথচারীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণকে লকডাউনের বিধি-নিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা প্রদান করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, জরিমানা নয়, জনসচেতনতার উদ্দেশ্যেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার লকডাউন শিথিল করছে। এসময়ে সবাইকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাই।

প্রতিবেদকঃ জহিরুল ইসলাম জয়, ১৬ জুলাই ২০২১

Share