চাঁদপুর

লকডাউনে চাঁদপুরে হাটবাজারে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়

আগামি এক সপ্তাহ পরেই শুরু হচ্ছে সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান।এদিকে করোনার সংক্রমণের ভয়াবহতা রোধে ৫ মার্চ থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। হঠাৎ করে এমন অপ্রত্যাশিত লকডাউনের খবরে চাঁদপুরে বিভিন্ন বিপনীবিতান, হাট-বাজারে যেনো হুমড়ি খেয়ে পড়েছে মানুষ।

৪ মার্চ রোববার সকাল ১০ টা থেকে বিকেল পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন হাট-বাজার ও বিপনীবিতানগুলো ঘুরে মানুষের উপচেপড়া ভীড় চোখে পড়ে। তবে চোখে পড়েনি সামাজিক দুরত্ব কিংবা স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা। হাট-বাজার থেকে শুরু করে মার্কেট-বিপনী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের যেমন স্বাস্থ্য বিধি মানতে দেখা যায়নি, তেমনি দোকানীদেরও ছিলো একই অবস্থা।

উভয় পক্ষই বলছেন, এক সপ্তাহ লকডাউন। আবার সামনের সপ্তাহ থেকে রোজা শুরু। তাই অনেকেই মাসের ও রোজার বাজার একসঙ্গে করছেন। আবার দাম বেড়ে যাবার ভয়ে কেউ কেউ একসঙ্গে বাড়তি পরিমাণ পণ্যও কিনে নিয়েছেন। বিষয়টিকে ব্যাঙ্গ করে বলেছেন, ‘এ যেনো ‘চাঁদ রাতের ঈদের বাজার করা’। অনেকেই যেমন প্রয়োজনের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি পরিমাণে কাচা বাজার করছেন, তেমনি অনেকেই আবার কিনে রেভেছেন কাপড়-চোপড় কিংবা প্রসাধনীও।

এদিকে হঠাৎ করে হাট-বাজার ও বিপনীবিতানগুলো ক্রেতার উপস্থিতি বেড়ে যাওয়া রোববার দিনভর শহরজুড়ে ছিলো অসহনীয় যানজট। যা স্থায়িত্ব ছিলো বিকেল পর্যন্ত।

চাঁদপুর শহরের পাল বাজার থেকে বের হওয়া আজগর বেপারী নামে এক ক্রেতা চাঁদপুর টাইমসকে জানান, কাল থেকে লক ডাউন শুরু। আবার রমজান মাসও সামনের সপ্তাহে। শুনেছি জিনিসপত্রের দামও না কি বেড়ে যাবে। তাই বাড়তি কিছু কাচা বাজার ও মুদিপণ্য কিনে রাখলাম।

শহরের রেলওয়ে হকার্স মার্কেটে কাপড় কিনতে আসা হাজেরা বেগম জানান, লকডাউন শুরু হচ্ছে। যদিও সরকার এক সপ্তাহের কথা বলেছে, কিন্তু এই এক সপ্তাহের লগডাউন যে বাড়ানো হবে না- তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই বাধ্য হয়েই প্রয়োজনীয় কিছু কাপড় কিনে রাখলাম। একই কথা জানান অন্য আরেক ক্রেতা। তবে স্বাস্থ বিধি না মানার বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেনি কেউ। 

প্রতিবেদকঃ আশিক বিন রহিম, ৫ এপ্রিল ২০২১

Share