Home / চাঁদপুর / অ্যাডভোকেট রেজা পাহলভী মজিদ শেলী জানাযা ও দাফন সম্পন্ন
রেজা পাহলভী মজিদ শেলী
চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট রেজা পাহলভী শেলীর জানাজায় অংশগ্রহনরত আইনজীবী, বিচারক সহ মুসুল্লিরা।

অ্যাডভোকেট রেজা পাহলভী মজিদ শেলী জানাযা ও দাফন সম্পন্ন

চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ও জাতীয় পাটির নেতা মরহুম অ্যাড. রেজা পাহলভী মজিদ শেলী -এর জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

১০ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ১০টায় চাঁদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড মসজিদে গোর-এ-গরীবাঁ-কমপ্লেক্স এর সামনে নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন বাসস্ট্যান্ড মসজিদে গোর-এ-গরীবাঁ-কমপ্লেক্স এর খতিব মাও. আব্দুর রশিদ।

জানাযার নামাজ পূর্বে মরহুমের আত্মীয় তাহের এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শাহাদাত হোসেন, মরহুমের ছোট ভাই রেজা ইকবাল মজিদ ও মরহুমের ছেলে পাশা মজিদ শেলী।

জানাজায় অংশ নেন চাঁদপুরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নূরে আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জামাল হোসেন, অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট সৈয়দ কায়সার মোশারফ ইউছুফ, জাতীয় দৈনিক অনুপমা ও দৈনিক চাঁদপুরজমিন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রোকনুজ্জামান রোকন, চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড:শেখ জহিরুল ইসলাম সহ বিচার বিভাগ, জেলা প্রশাসন, আইনজীবী, জেলা জাতীয় পাটির অংঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ মুসল্লিগন।

জানাযার নামাজ শেষে বাসস্ট্যান্ড গোর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

প্রসঙ্গত, অ্যাডভোকেট রেজা পাহলভী মৃত্যুর দিন ও আদালতে বিচার প্রার্থীদের সেবা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালত চত্বরে হাঁটাহাটি শেষে তার নিজ বাসা চক্ষু হাসপাতাল সংলগ্ন চলে আসেন। সন্ধ্যায় তার বুকের ব্যাথা শুরু হলে পরিবারের লোকজন তাকে বেলভিউ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

তার অবস্থা বেঘতিক চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে এক মেয়ে নাতি-নাতনিসহ আত্মীয়-স্বজন অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে রেজা পাহলভী মজিদ শেলী -এর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার দীর্ঘদিনের একসাথে চলা আইনজীবী বন্ধু-বান্ধব সহ সকলেই তাকে শেষবারের মতো দেখার জন্য ছুটে যান তার বাসায়। তার মৃত্যুতে চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতি কাল রোববার শোক সভা ও ফুলকোর্ট রেফারেন্স আয়োজন করেছে।

প্রতিবেদক : মাজহারুল ইসলাম অনিক, ১০ জানুয়ারি ২০২০